আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি। মাঝে কলকাতা লিগ এলেও ক্লাবতাঁবুতে সর্বভারতীয় ট্রফি ঢোকেনি। মাঝে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছে মোহনবাগানের কাছে। এবার ডার্বি জয়ের পর লাল হলুদের রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। তবে স্থানীয় দলের বিরুদ্ধে জেতা যে সহজ হবে না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সুপার কাপ ফাইনালের আগের রাতে বেশ চনমনে ইস্টবেঙ্গল শিবির। প্র্যাকটিসে টগবগ করে ফুটছিলেন ক্লেইটন, ক্রেসপোরা। হাসিখুশি কার্লেস কুয়াদ্রাতও। হাওয়াই স্বাভাবিক। পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামবে লাল হলুদ। কাতার থেকে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নওরেম মহেশ, লালচুংনুঙ্গা। কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরছেন বোরহা। তবে শুরু থেকে ভারতীয় দল ফেরত দুই ফুটবলারকে নাও খেলাতে পারেন কুয়াদ্রাত। হয়তো উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবেন না। পরিবর্ত হিসেবে নামবেন দু"জন। তবে তাঁদের অন্তর্ভুক্তিতে নিঃসন্দেহে আরও শক্তি বাড়বে ইস্টবেঙ্গলের। টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত। সাম্প্রতিককালে এমন খুব কমই ঘটেছে। কুয়াদ্রাতের মাস্টারস্ট্রোকে একের পর এক বাধা পেরিয়ে ট্রফি জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। এখান থেকে কোনওভাবে খালি হাতে ফিরতে চান না লাল হলুদ কোচ থেকে ফুটবলার। ট্রফির খরা কাটাতে মরিয়া। সুপার কাপের প্রথম তিন ম্যাচেই অনবদ্য পারফরম্যান্স। রক্ষণ সংগঠন শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচ থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলছে ইস্টবেঙ্গল। তারওপর ছন্দে ক্লেইটন সিলভা। সুপার কাপে চার গোল করে ফেলেছেন। আগের দিন পেনাল্টি মিস করেন। তবে ফাইনালে কোনও ভুল করতে চাইবেন না ব্রাজিলীয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল নামবে, সেই ওড়িশা এফসি টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত। তারমধ্যে ১৩টি ম্যাচ জিতেছে। কলকাতার দুই প্রধানের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচ ড্র করেছে। বর্তমানে আইএসএলের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ওড়িশা। তারওপর দলে সের্জিও লোবেরার মতো কোচ আছে। তবে আইএসএলে যুবভারতীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচ ড্র হয়। সেই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ওড়িশার বিরুদ্ধে বাজিমাত করতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল। ২০১৮ সালে প্রথম সুপার কাপের ফাইনালে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর কাছে হারতে হয়েছিল। সুনীলদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি লাল হলুদ। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো খেলছে ইস্টবেঙ্গল। গতবারের বিজয়ীদের বিরুদ্ধে বাজিমাত করতে কুয়াদ্রাতের মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল ইস্টবেঙ্গল।