• নীতীশের এনডিএ শিবিরে যোগ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত
    আজকাল | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • ‌আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে বিহার দখলে মরিয়া বিজেপি। বিহারে ‘‌মহাগঠবন্ধন’‌ সরকারকে ভাঙতে তৎপরতা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে। এনডিএ শিবিরে যোগ দিতে পা বাড়িয়ে সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, শিগগিরই এনডিএ-‌তে ফিরছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে যে কোনও মুহূর্তে ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ। এমন পরিস্থিতিতে বিহারের যুযধান সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের ঘর বাঁচাতে তৎপর। লোকসভা নির্বাচনের আগে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আরজেডি, কংগ্রেস চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে। শনিবারই দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছে আরজেডি। ওই বৈঠকে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব বলেছেন,‘‌বিহার ম্যায় অভি খেলা হোনা বাকি হ্যায়।’‌ অর্থাৎ বিহারে এখনও খেলা বাকি রয়েছে। এদিকে বিহারের পূর্নিয়ায় দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে রবিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেসও। রাজ্যে "ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা" ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে হাত শিবির। এদিনই পাটনায় পরিষদীয় দলের বৈঠক করেছে বিজেপিও। বিহারে নীতীশ কুমারকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তাঁকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনার মধ্যেই এদিন এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারি যে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে এক বার নয়, একাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’ এদিন জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী দাবি করেছেন, ইন্ডিয়া জোট ধ্বংসের কিনারায় রয়েছে। নীতীশ কুমার এমন কিছু দেখতে পাচ্ছেন না যে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি শক্তিশালী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ত্যাগী দাবি করেছে, ‘‌ইন্ডিয়া জোট ধ্বংসের কিনারায় রয়েছে। পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলির জোট প্রায় শেষ।’‌ তাঁর কথায়,‘‌ নীতীশ কুমার কখনও জোটে কোনও পদের জন্য আকুল হননি, কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ বারবার তাঁকে অপমান করেছেন।’‌ জেডিইউ নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে অ-কংগ্রেসি দলগুলিকে কংগ্রেসের সঙ্গে আনতে সফল হয়েছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে। যদিও কংগ্রেস মনে করাচ্ছে, বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তিনিই ইন্ডিয়া জোটের মূল স্থপতি। গত বছর ২৩ জুন নীতীশই বিরোধী শিবিরকে এককাট্টা করতে উদ্যোগী হন। তাঁর আহ্বানেই বিহারে ১৮ বিজেপি বিরোধী দলের প্রথম বৈঠক হয়। বেঙ্গালুরুতে ১৭-‌১৮ জুলাই দ্বিতীয় বৈঠক হয়। সেখানে নীতীশের উপস্থিতিতেই জোটের নাম দেওয়া হয় ‘‌ইন্ডিয়া’।‌ এর পরে ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রে বৈঠক হয়েছিল ২৮ দলের। সেই বৈঠকে স্বয়ং নীতীশ ছিলেন। এখন যদি এনডিএ-‌তে যেতে চান তিনি!‌ তখন তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
  • Link to this news (আজকাল)