• সুরজ বিস্ফোরণে অসমকে উড়িয়ে গুয়াহাটিতে জয়ধ্বজা ওড়াল বাংলা
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2024) প্রথম তিন ম্য়াচে জয় না পাওয়া দলটাই এবার জ্বলে উঠল মাঠে। গুয়াহাটিতে ঢুকেই, অসমকে উড়িয়ে জয়ধ্বজা ওড়াল বাংলা ব্রিগেড। চলতি মরসুমে প্রথম জয় পেল মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) অ্যান্ড কোং। রিয়ান পরাগদের (Riyan Parag) একেবারে ল্যাজে-গোবরে করে ইনিংস ও ১৬২ রানে হারাল লক্ষ্মীরতন শুক্লার শিষ্যরা। এর সঙ্গেই নকআউটে যাওয়া গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্সে ম্য়াচের নায়ক হলেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল (Suraj Sindhu Jaiswal)। দুই ইনিংস মিলে আট উইকেট নিয়ে একাই বুঝে নিলেন অসমকে। এবার আসার যাক ম্য়াচের প্রসঙ্গে। রিয়ানের দল টস জিতে মনোজদের ব্য়াট করতে পাঠিয়ে ছিলেন। ব্য়াট করতে নেমে বাংলা রীতিমতো ব্য়াকফুটে চলে গিয়েছিল। ২০ ওভারের মধ্য়ে মাত্র ৫৭ রানে চলে যায় দলের চার উইকেট। দুই ওপেনার সৌরভ পাল (১২) ও শ্রেয়াংশ ঘোষের (১৩) মতোই তিনে নামা মহম্মদ কাইফ (২) ও চারে নামা সুদীপ ঘরামি (১০) ফিরে যান। এমন অবস্থায় যে ক্রিকেটার বাংলার হয়ে বারবার বৈতরণী পার করান, সেই অনুষ্টুপই উত্তীর্ণ হন ত্রাতার ভূমিকায়। তাঁকে দুরন্ত সঙ্গ দেন মন্ত্রী মনোজও। অনুষ্টুপ (১২৫) ও মনোজের (১০০) জোড়া সেঞ্চুরির সঙ্গেই করণ লাল (৫২) ও সুরজ (৫২) অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলে বাংলাকে উপহার দেন ৪০৫ রান। অসমের হয়ে মোখতার হোসেন পান চার উইকেট।বাংলার প্রথম ইনিংসের জবাবে অসমের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। দলের দুই ব্য়াটার হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন বলেই অসমের ১০০ উঠেছিল। বাংলার বোলারদের মধ্য়ে মহম্মদ কাইফ নেন চার উইকেট। তিন উইকেট নেন সুরজ। দুই উইকেট অঙ্কিত মিশ্রের। বাংলা অসমকে ফলো অন করায়। দ্বিতীয় ইনিংসে অসমের অবস্থা প্রায় একই থাকে। মাত্র ১৪০ রান তাঁরা যোগ করতে পেরেছিল। এবার সুরজই বুঝে নিয়েছিলেন হিসেব। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। বাকি দুই উইকেট অঙ্কিত ও করণের। আড়াই দিনের ম্যাচে অসম নিজেদের মাঠে দু'বার অলআউট হল।রঞ্জি অভিযানের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছিল বাংলাকে! বিশাখাপত্তনমে মনোজ তিওয়ারি অ্যান্ড কোংয়ের ঝুলিতে এসেছিল মাত্র এক পয়েন্ট। অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলা। দ্বিতীয় ম্য়াচে বাংলা মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের। তবে অন্ধ্রের বিরুদ্ধে যেটা করতে লক্ষ্মীরতন শুক্লার শিষ্যরা ব্য়র্থ হয়েছিলেন, সেটাই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা করেছিলেন। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ড্র করেও পকেটে এসেছিল তিন পয়েন্ট। তৃতীয় ম্য়াচে বাংলা খেলেছিল ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে। ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে ড্র করে আসে এক পয়েন্ট। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)