প্রদ্যুত্ দাস: বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটকে ভাসিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিকেলেই বিজেপির সাহায্য নিয়ে ফের সরকার গড়ার দাবি করবেন নীতীশ। বিহারের রাজনীতিতে 'পাল্টুরাম' নামে সমালোচিত নীতীশ ইন্ডিয়া জোটের সব অঙ্ক ওলটপালট করে দিলেন। জলপাইগুড়িতে ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় এসে এনিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
রবিবার রাহুল গান্ধীর যাত্রা শুরুর আগে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জয়রাম রমেশ বলেন, আই এন ডি আই এ ব্লকের অন্যতম রূপকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। কারণ এই জোট তৈরির সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোটে থাকার অন্যতম কারণ এবং আমাদের উদ্দেশ্য হল এক স্বৈরাচারী বিজেপিকে পরাস্ত করে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
তবে কিছু ছোটো খাটো ঘটনা ঘটেছে সেই গুলো সবই মিটে যাবে। মমতা আর কংগ্রেসের লক্ষ্য একই।অপরদিকে সম্প্রতি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পূনরায় রাজনৈতিক তাবু বদল প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, রাজনীতিতে নীতীশ কুমার হলেন গিরগিটিদের নেতা, ওনার সম্পর্কে আমি খুব ভালো জানি। আসলে রাহুল গান্ধীর ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা আগামিকাল বিহারে পৌঁছবে তাতে আতঙ্কিত নীতীশ কুমার-সহ মোদী, অমিত শা। রাহুল গান্ধীর ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরিয়ে দিতেই নীতীশ কুমার এই ম্যাজিক দেখালেন যার আসল সৃষ্টিকর্তা মোদি এবং অমিত শা।এদিন জসপাইগুড়িতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে জয়রাম রমেশ বলেন, উনি ব্যাস্ত মানুষ অনেক কাজ ওঁকে করতে হয়। উনি যদি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দেন তাহলে ওঁকে স্বাগত। রাহুলজিব বারবার বলেছেন, এই ঘৃণার রাজনীতির বাতাবরণে আমি ভালোবাসার দোকান খুলেছি। এই যাত্রায় সবাই আসতে পারেন।