মৌমিতা চক্রবর্তী: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস। তাঁকে স্বাগত জানাবে কংগ্রেস। জলপাইগুড়িতে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় সামিল হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এমনটাই বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। রাহুল গান্ধী পরে যোগ দেবেন। তার আগেই জলপাইগুড়িতে আজ যাত্রা শুরু করেন জয়রাম রমেশ। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মমতাজিকে তো আপনারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, উনি কি যাত্রায় য়োগ দিচ্ছেন? এনিয়ে জয়রাম রমেশ বলেন, জানি না। উনি ব্যাস্ত একজন মুখ্যমন্ত্রী। অনেক কাজ ওঁকে করতে হয়। উনি যদি যাত্রায় যোগ দেন তাহলে ওঁকে স্বাগত।
কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আমন্ত্রণ জানালেও স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা চাইছেন না মমতা আসুন। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়রাম রমেশ বলেন, ভারত জোড়া ন্য়ায়যাত্রায় সাবাইকে স্বাগত। রাহুলজি বারবার বলেছেন, ঘৃণার এই পরিবেশে আমি ভালোবাসার দোকান খুলেছি। এখানে সবাই আসতে পারেন। এই যাত্রায় বিজেপি ভয় পেয়েছে।এদিন জয়রাম রমেশ বলেন, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ফের এখান থেকে শুরু হল। কাল ও পরশু আমরা বিহারে থাকব। বেলা দুটোয় রাহুলজি এসে যাবেন। আপাতত ২ কিলোমিটাল লম্বা পদযাত্রা হবে। তার পরে আমরা শিলিগুড়ি যাব। সেখানে পদযাত্রা ও জনসভাও হবে।'ইন্ডিয়া' জোটকে শেষপর্য়ন্ত পথে বসিয়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার। এখন এই শিবির ত্য়াগ্যে কি জোটের প্রভাব পড়বে? জয়রাম রমেশ বলেন, নীতীশ কুমারজি বারবারই বং বদল করে থাকেন। উনি গিরগিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে থাকেন। বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় ভয় পেয়েছে। তাই এরকম একটি ষড়যন্ত্র করেছে। কাল আমরা বিহারে যাব। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে মানুষের মন যোগ সরিয়ে দেওয়ার জন্য পাটনায় এসব করা হচ্ছে। এর প্রধান রূপকার প্রধানমন্ত্রী।রাহুলের নিরাপত্তা নিয়ে জয়রাম বলেন, অসমে রাহুলজিকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাই বাংলায় রাহুলজির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। উনি রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্যকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।