• মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধ করল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন ...
    আজকাল | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি-১ ব্লক প্রশাসন এবং সুতি থানার পুলিশ এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া ওই নাবালিকার অমতে তার পরিবারের লোকজন বিয়ে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে সুতির আহিরণ হাসপাতাল পাড়াতে পৌঁছে যান সুতি -১ ব্লকের বিডিও অরূপ সাহা এবং সুতি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জেলা পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরকে বিয়ে বাড়িতে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন মেয়ের বাড়ির লোকেরা।  প্রাথমিকভাবে তারা এই বিয়ে বন্ধ করতে রাজি ছিলেন না। তবে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হলে পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপরই মেয়ের পরিবার বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়। প্রশাসনের আধিকারিকদের তারা লিখিত মুচলেকা দিয়েছে মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে তার বিয়ে দেবেন না। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বছর ষোলোর ওই নাবালিকা রঘুনাথগঞ্জের একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। কিন্তু তার আগে বুধবার রঘুনাথগঞ্জের রাণীনগরের এক যুবকের সাথে ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক করে বসেন তার পরিবারের সদস্যরা। সুতি -১ ব্লকের বিডিও অরূপ সাহা বলেন, পুলিশ প্রশাসন যাতে নাবালিকার বিয়ে সম্পর্কে কিছু জানতে না পারেন সে কারণে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের মির্জাপুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকার পরিবার তাকে নিয়ে দিন কয়েক আগে আহিরণ-এ দিলীপ মন্ডল নামে এক আত্মীয়র বাড়িতে এসে ওঠেন। দিলীপবাবুর বাড়িতে বিয়ের প্যান্ডেল তৈরি করে ওই নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। আগামী বুধবার ওই নাবালিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।তিনি বলেন,"প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি ওই নাবালিকার মা মারা গেছেন এবং তার বাবা মানসিক বিকারগ্রস্ত। ওই নাবালিকা তার ঠাকুমার কাছে মানুষ হচ্ছে। ওই মেয়েটির বয়স ১৮ বছর না হলেও তার পরিবার একজন "ভাল পাত্র" পেয়ে যাওয়াতে বিয়ে ঠিক করেছিল বলে আমাদেরকে জানিয়েছে।" বিডিও বলেন, "আজ আমরা দিলীপ মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করেছি এবং তাকে বলা হয়েছে বিয়ের প্যান্ডেল খুলে ফেলার জন্য। ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে বিয়ে বন্ধ করার বিষয়ে আমাদেরকে একটি লিখিত মুচলেকা দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালিকা যদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হবে।"
  • Link to this news (আজকাল)