• বই আর বিনোদন সত্যিই হাতে হাত?
    আজকাল | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • কৌশিক রায় "বিনোদন, বই- চিরকালই হাতে হাত- বলে একসাথে চলবই।" কিন্তু বিনোদন আর বই কি সত্যিই একসঙ্গে হাতে হাত ধরে চলতে পারে? কারোর মতে সিনেমা, ওয়েব সিরিজই বিনোদন, বই এখন সেই জায়গা হারিয়ে ফেলেছে। আবার কেউ বলছেন বইটাও পড়ে বিনোদনের মধ্যেই। সিনেমা, সাহিত্য, বই, ওয়েব সিরিজ নিয়ে যে কোনো আলোচনায় হল ভরিয়ে দিতে বাঙালি সবসময়ই এক পা এগিয়ে। বইমেলায় কলকাতা সাহিত্য উৎসবে এদিন আলোচনায় বক্তা হিসেবে ছিলেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য্য, সুরজিৎ চ্যাটার্জি, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বই আর বিনোদন কি সত্যিই সমানুপাতিক? চন্দ্রিলের কথায়, "একেবারেই নয়। বর্তমান যুগে বই আর বিনোদন হাতে হাত রেখে চলতে পারে না। একটা সময় ছিল যখন বইটাই আমাদের কাছে বিনোদন ছিল। বর্তমানে রিলস, ওয়েব সিরিজ ছেড়ে কেউ বই পড়ে না। ৩০০ পাতার বইয়ের থেকে ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মানুষ অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছে বর্তমানে।" চন্দ্রিলের সুরেই সুর মেলালেন রাঘবও। সঙ্গীতশিল্পী জানালেন, "আমাদের বাড়ি প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত। কাজেই কতজন বইয়ের প্রতি আগ্রহী তার একটা আভাস রয়েছে আমার কাছে। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানার হলে মানুষ আগে বইতে খুঁজতেন। কিন্তু ৩০০০ পাতার বইয়ে খোঁজার থেকে ইন্টারনেটে খোঁজ করতেই এখন বেশি বিশ্বাস করে মানুষ। বলা ভাল সিনেমাকেও ছাপিয়ে গিয়ে স্মার্টফোনটাই এখন একটা গোটা বিনোদন জগৎ হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।" তবে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "বই আর সিনেমার গুরুত্ব সমান । কোনো বই থেকে সিনেমা মুক্তি পেলে মানুষ সেই বইটার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সিনেমা দেখার পর হোক কিংবা আগে হোক সেই বইটা মানুষ পড়বেই। যদি শুধু বইমেলাকেই ধরা হয়, দেখব পরবর্তী প্রজন্ম এখনও বই কিনতে আগ্রহী। সেই ভিড়টা চোখে পড়ছে। তাঁরা যেমন ওয়েব সিরিজ দেখছেন তেমন বইও পড়ছেন। বই আর বিনোদন পাশাপশি চলুক, ওতেই হবে। হাত ধরার দরকার নেই।" অন্যদিকে, শিল্পী সুরজিৎ চ্যাটার্জির বিশ্বাস, বইটাই এক ধরনের বিনোদন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খুব বেশিদিন বাজার ধরে রাখতে পারবে না। মানুষ আবার বই পড়ায় ফিরবে। সাহিত্য উৎসবে এই আলোচনার মঞ্চ থেকেই প্রচেত গুপ্তর "আজ একটা ভালো দিন" এবং অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের "অকিঞ্চিৎ" বই উদ্বোধন হয় অতিথিদের হাত ধরে।ছবি: তপন মুখার্জি
  • Link to this news (আজকাল)