মৌমিতা চক্রবর্তী: 'ভারত জোড়া যাত্রা'য় এবার বাংলায় রাহুল গান্ধী। বললেন, 'বাংলা সাধারণ জায়গা নয়। ব্রিটিশ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মতাদর্শের কাজ এখানে হয়েছিল। আপনাদের দায়িত্ব দেশকে রাস্তা দেখানো, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষ চন্দ্র করেছিলেন। বাংলার সব মানুষের হৃদয় সেই এই আগুন আছে'।
দিল্লি থেকে ফিরে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরে 'ন্যায় যাত্রা' শুরু করলেন রাহুল। কবে? আজ, রবিবার। এরপর ৩১ জানুয়ারি বিহারে হয়ে যাত্রা পৌঁছবে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।শিলিগুড়িতে রাহুল বলেন, 'লোকেরা বলেছিল, 'আপনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাবেন। কিন্তু বাংলার কী হবে? অসমে কী হবে? ওড়িশার কী হবে? নাগাল্যান্ড, মণিপুরের কী হবে? তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, পূর্ব থেকে পশ্চিম,মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র ফের ভারত জোড়া যাত্রা করব'। সঙ্গে বার্তা, 'ভারতে যে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়ছে এক ধর্ম, আর ধর্মের মধ্যে, এক ভাষা, অন্য ভাষার মধ্যে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে'। রাহুলের আরও বক্তব্য, 'যদি কোনও ভারতীয় চোখ বন্ধ করে নিজেকে জিজ্ঞেস করে, হিংসা-ঘৃণায় আমার লাভ হয় বা দেশের লাভ হয়, ভিতর থেকে উত্তর পেয়ে যাবে, হিংসা ঘৃণা থেকে কারও কোনও লাভ হয় না। কিন্তু আমরা দেখছি, আস্তে আস্তে এই ভালোবাসার দেশটায় ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ আছে। যদি কোনও যুবককে জিজ্ঞেস করেন, পড়াশোনার পর কী করতে চান? সবাই বলবে, আমি চাকরি করতে চাই। রোজগার করতে চাই। কিন্তু বাস্তব হল, আজ দেশে যদি কেউ কাজ চায়, তাহলে কাজ মিলবে না। যুবকরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে না। মনে ঘৃণা,রাগ জন্ম নিচ্ছে'।এদিকে রাহুলের 'ন্যায় যাত্রা' শুরুর দিনই উত্তরবঙ্গের পৌঁছলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ৪ দিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচি তাঁর। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি যাত্রায় যোগ দেন, তাহলে ওঁকে স্বাগত জানানো হবে'।