• হোটেলে ফিরে কেক কাটলেন কুয়াদ্রাত-ক্লেইটন, এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবছেন না ব্রাজিলীয়...
    আজকাল | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, ভুবনেশ্বর১১১ মিনিটে গোল করেই ছুটে গেলেন কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে। জার্সি খুলে দুই হাঁটু মুড়ে শুয়ে পড়লেন। ঠিক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর স্টাইলে সেলিব্রেশন। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মাতে ইস্টবেঙ্গলের বাকি ফুটবলাররা। সেমিফাইনালে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস হয়েছিল। কিন্তু এদিন জয়সূচক গোল এল তাঁর পা থেকেই। তাই বাঁধনহারা সেলিব্রেশন মাতেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। ক্লেইটন‌ বলেন, "আমি নিজেও ঠিক জানি না সেই মুহূর্তে আমার কী হয়েছিল। কী করেছি সেটা আমার এখন খেয়াল নেই। দীর্ঘ বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই ট্রফি না পাওয়ার হতাশা দেখছি। দীর্ঘ বছর ধরে এই ট্রফির অপেক্ষায় ছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই এই মুহূর্তটা আমার কাছে আবেগের। একটা ট্রফির জন্য আমরা কতটা মরিয়া ছিলাম সেটা বলে বোঝাতে পারব না। অবশেষে সেটা এল। তাই খুশিই আলাদা।" দু"বছর হল ইস্টবেঙ্গলে খেলছেন। তার আগে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। তবে সুপার কাপ জয়ই ভারতে তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। ক্লেইটন বলেন, "অবশ্যই এটা আমার সেরা মুহূর্ত। কলকাতায় প্রথম ট্রফি। দু"বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলে খেলছি। কিন্তু ট্রফি পাইনি। তাই এটার জন্য আমরা মরিয়া ছিলাম। সেই কারণেই সুপার কাপ জয় আমার কাছে স্পেশাল।" পাঁচদিন পরই ডার্বি। কিন্তু এখনই এই নিয়ে ভাবছেন না ব্রাজিলীয়। ক্লেইটন বলেন "আমি এখন ডার্বি নিয়ে কিছু ভাবছি না। সবে সুপার কাপ জিতেছি। এই জয়টা চুটিয়ে উপভোগ করতে চাই। ডার্বি নিয়ে ভাবার সময় আছে।" গোল এবং ট্রফি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উৎসর্গ করেন ক্লেইটন। বলেন, "আমাদের ভাল, খারাপ সময়ে এরা আমাদের পাশে ছিল। তাই গোল এবং ট্রফি সাপোর্টারদের উৎসর্গ করছি।" তাঁকে নিয়েও এদিন উন্মাদনা কম ছিল না। কুয়াদ্রাতের পর ক্লেইটনকে নিয়েই বেশি মাতে লাল হলুদ জনতা। মরিসিওর সঙ্গে যৌথভাবে গত আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। পাঁচ গোল করে সুপার কাপেও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। মূলত কুয়াদ্রাতের স্ট্র্যাটেজি এবং ক্লেইটনের পা লাল হলুদের সুপার কাপ জয়ের মূলে। এই দু"জনকেই ভালবাসায় মুড়ে ফেলে লাল হলুদ সমর্থকরা। উৎসবের রেশ চলে হোটেলেও।‌ টিম হোটেলে পা রেখেই কেক কাটেন কুয়াদ্রাত এবং ক্লেইটন।‌ হাজির ছিল কিছু সমর্থক। 
  • Link to this news (আজকাল)