• বউমার ক্রিম-লিপস্টিক মাখেন শাশুড়ি! থানায় গড়াল মামলা, তার পর...
    আজ তক | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • Agra Lipstick Cream Controversy: রবিবার তাজনগরী আগ্রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে, এক পুত্রবধূ, তাঁর শাশুড়ির বিরুদ্ধে তার মেক আপ কিট দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে তোলার অভিযোগ করেন। পুত্রবধূর অভিযোগ, শাশুড়ি তাঁর মেক-আপ কিট থেকে দামী ক্রিম পাউডার ব্যবহার করে মেক-আপ করে বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। এই দামী মেক-আপ তাঁরা সাধারণত বিয়ে বা পার্টিতে গেলে করেন বলে জানালে তাঁরা বাড়িতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এতে প্রতিবাদ করলে তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করেছেন বলে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি শুনে পুলিশ ঘাবড়ে যায় এবং বিষয়টি ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠায়।

    এ নিয়ে রবিবার পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। যার জেরে এখন দুই পরিবার ভাঙার পথে। এ নিয়ে কাউন্সেলর মেয়ের জামাই ও শাশুড়িকে কাউন্সেলিং এর পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন।

    ঘটনাটি মালপুরা থানা এলাকার। এখানে আট মাস আগে ফতেহাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা দুই ভাইয়ের সঙ্গে দুই বোনের বিয়ে হয়। বড় বোনের স্বামী টাইলস বসানোর কাজ করেন। ছোট বোনের স্বামী জুতার কারিগর। দুই বোনেরই অভিযোগ, তাদের স্বামীরা রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসেন। কেউ বাধা দিতে গেলে তারা মারামারি শুরু করে। পরিবারের স্বার্থে আমরা সব কিছু সহ্য করছি।

    শাশুড়ি মেক-আপ করে সারা ঘরে ঘুরে বেড়ায়

    বোনেরা ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলরকে বলেছিলেন যে, "তার স্বামী মদ পান করেন। এবং তিনি তার শাশুড়ির কর্মকাণ্ডেও বিরক্ত ছিলেন। বড় বোন জানান, শাশুড়ি তার মেকআপ বক্সের দিকে নজর রাখেন। সে গোপনে আমার মেকআপ কিট থেকে ক্রিম এবং পাউডার বের করে। সে মেক-আপ করে ঘরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। আমি তাকে বাধা দিয়ে বলি, এটা খুব দামী। এগুলি শুধুমাত্র বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োগ করা হয়। ঘরে তৈরি ক্রিম এবং মেকআপ আলাদা। এ নিয়ে তার শাশুড়ি তাঁকে বকাঝকা করেন। সন্ধ্যায় স্বামী কাজ থেকে ফেরার পর শাশুড়ি তাকে এগুলি নিয়ে কথা বলেন, এমনকী যখন আমি আমার স্বামীকে পুরো সত্যটা বললাম, তখন তিনি তার মায়ের পক্ষ নিয়েছিলেন। রাতে মদ্যপান করার সময় তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।"

    মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে যেতে রাজি নয়

    কাউন্সেলর অমিত গৌর বলেন, স্বামী-স্ত্রী ও শাশুড়ির মধ্যে মিলনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়িকেও কাউন্সেলিংয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন দুই বোনই শ্বশুরবাড়ি যেতে চায় না। তিনি আপস করতে অস্বীকার করেছেন। সে বলে এখন এখানে স্বামী রাজি হবে। বাড়িতে পৌঁছে সে আগের মতোই আচরণ করবে। প্রতিদিন ঝগড়া-বিবাদের চেয়ে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াই ভালো।

    তারপর কাউন্সেলিং করা হবে

    পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারের ইনচার্জ এসআই অপূর্ব চৌধুরী জানান, স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়িকে কাউন্সেলিং করার জন্য পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়েছে। যখন কাউন্সেলিং সম্পর্কের উন্নতি করে না, তখন মামলার আদেশ দেওয়া হয়।

     
  • Link to this news (আজ তক)