• মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাবে মোদী সরকার! কারা কারা পাবেন?
    আজ তক | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেট খুব গুরুত্বপূর্ণ মোদী সরকারের জন্য। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাজেটে গরিব মানুষ, যুব সম্প্রদায়, কৃষক ও মহিলারা বিশেষ সুবিধে পাবেন। 

    বাজেট কেমন হতে পারে তা নিয়ে সম্যক ধারনা পাওয়া যেতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য থেকে। তিনি জানান,আমার জন্য দেশে চারটি জাতি আছে। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে সর্বোচ্চ ফোকাস এই ৪ ক্যাটাগরির ওপরই থাকতে পারে। এই কারণেই সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা অর্থাৎ মহিলাদের মন জয় করতে বড় ঘোষণা করতে পারে। 

    এবার অন্তর্বর্তী বাজেটে মহিলাদের জন্য অনেক ঘোষণা থাকতে পারে। বিশেষ করে কৃষি খাতে মহিলাদের জন্য একাধিক ঘোষণা হতে পারে। ভারতীয় মহিলারা বিশ্বের কৃষি শ্রমের ৪৩ শতাংশ অবদান রাখে। ভারতের গ্রামীণ এলাকায় মোট কৃষি শ্রমে তাদের অংশগ্রহণ ৮৪ শতাংশ। অর্থনীতিবিদদের মতে, এবারের বাজেটে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার। 

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলা কৃষকদের জন্য সম্মান নিধি বাড়ানো হতে পারে ১২ হাজার টাকা। MNREGA-এর জন্য মহিলাদের বিশেষ সংরক্ষণ এবং উচ্চতর সম্মানী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য নারীদের সুদমুক্ত ঋণও দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বাক্স খোলার ক্ষেত্রে সরকার কার্পণ্য করবে না। 

    ভারতীয় অর্থনীতীতে জিডিপিতে মহিলাদের অবদান ১৭ শতাংশ। এত কম অংশগ্রহণে ভারতের পক্ষে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া সহজ হবে না। বিশ্বব্যাংকের মতে, ভারতের শ্রমশক্তিতে নারী ও পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব থাকলে দেশের জিডিপিতে ২৭ শতাংশ বাড়তে পারে। তার মানে, যদি ৫০ শতাংশ মহিলাও কর্মশক্তির অংশ হন, তাহলে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ বাড়তে পারে এবং ৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। 

    এমতাবস্থায় শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০২৩ সালের মধ্যে নারী সংক্রান্ত প্রকল্পের বাজেট ২৫ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। এর সাথে, মহিলাদের জন্য পরিচালিত প্রকল্পগুলি আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি এটি শ্রমশক্তির পাশাপাশি অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়তা করবে। সরকারের এই ঘোষণাগুলো এই নারীদের মূলধারায় আনতে এবং তাদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হতে পারে।
  • Link to this news (আজ তক)