• 'মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না,' চিঠি লিখে কোটায় ফের আত্মঘাতী পড়ুয়া!
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক সপ্তাহের মধ্যে কোটায় ফের আত্মঘাতী পড়ুয়া! আত্মঘাতী ১৮ বছরের এক জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার্থী। নতুন বছরে এটা দ্বিতীয় ঘটনা। মা, বাবাকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী ১৮ বছরের ওই পড়ুয়া। চিঠিতে ওই পড়ুয়া লিখেছে, 'মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না।' পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নীহারিকা নামে ১৮ বছরের ওই কিশোরী নিজেকে 'সবচেয়ে বাজে মেয়ে' বলে দাবি করেছে। এমনকি সে এটাও লিখেছে যে, 'এটাই শেষ উপায় রয়েছে।' অত্যন্ত মর্মান্তিক এই ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে কোটায় জয়েন্টের প্রস্তুতি নিতে যাওয়া পড়ুয়াদের মানসিক চাপের প্রসঙ্গ। দুদিন পর, বুধবার, ৩১ জানুয়ারি-ই ছিল জয়েন্ট পরীক্ষা। তার আগে সোমবার-ই বাবা, মা-কে চিঠি লিখে চরম পথ বেছে নেয় ওই পড়ুয়া। পরীক্ষা ভীতি, মানসিক চাপেই ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়। যা স্পষ্ট তার লেখা সুইসাইড নোটে। চিঠিতে সে লিখেছে, "মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি একজন হেরে যাওয়া মানুষ। আমি-ই কারণ। আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে। সরি, মা-বাবা। এটাই শেষ উপায়।" জানা গিয়েছে, ১৮ বছরের ওই জয়েন্ট পরীক্ষার্থী রাজস্থানের কোটায় থেকে সে JEE মেইনসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার ২ দিন আগে কোটার শিক্ষা নগরী এলাকায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয় সে। উদ্ধার হয়েছে তার ঝুলন্ত দেহ।এর আগে ২৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এক পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়। NEET-এর পরীক্ষার্থী ছিল সে। কোটায় থেকে প্রাইভেট কোচিংয়ের মাধ্যমে NEET-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। মহম্মদ জায়েদ নামে ওই পরীক্ষার্থী আদতে মোরাদাবাদের বাসিন্দা ছিল। বয়স ১৭ কি ১৮ বছর। একটি হস্টেলে থেকে NEET পরীক্ষার জন্য কোচিং নিচ্ছিল সে। নিজের ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং ইনস্টিটিউটের জন্য বিখ্যাত রাজস্থানের কোটা। কিন্তু এই কোটাতেই ২০২৩ সালে আত্মঘাতী হয়েছে ২৯ জন পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়াশোনার বিপুল-বিশাল চাপের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)