পুলিসের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি! বিজেপির কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র ব্যারাকপুর...
২৪ ঘন্টা | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
বরুণ সেনগুপ্ত: দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে 'আইন অমান্য'। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। চলল ইটবৃষ্টি! মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা জলকামান ব্যবহার করল পুলিসও। ধুন্ধুমারকাণ্ড ব্যারাকপুরে।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে পথে বিজেপি যুব মোর্চা। এসপি অফিসের সামনে আইন অমান্য় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে সেই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। কবে? আজ, সোমবার দুপুরে।এসপি অফিসের সামনে মিছিল করছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল তখন চিড়িয়া মোড় পেরিয়ে গিয়েছে। বাঁশের ব্য়ারিকেড করে দেওয়া হয় রাস্তায়। বিক্ষোভকারীদের ব্য়ারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলেই বাধা দেয় পুলিস। এরপরই কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। স্রেফ বচসা আর হাতাহাতি নয়, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ ও জলকামান ছোড়ে পুলিসও। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থকরা। আহত কর্মীদের দেখতে বিএন বসু হাসপাতালে যান সুকান্ত। তিনি বলেন, 'পুলিস একেবারেই তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিস শুধু লাঠিচার্জ করেনি, ফেলে মেরেছে। বিনা প্ররোচনায় জলকামান চালিয়েছে। এত বড় নেতৃত্ব আছে, পুলিস টিয়ার গ্যাস চালিয়েছে! একবার কথা বলতে আসবে না! আমাদের মহিলাদেরকে পুরুষ পুলিস লাঠিচার্জ করেছে'।এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'নিরপেক্ষভাবে ভোট করাতে পারবে না। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে বলব। এখানে পুলিস সম্পূর্ণ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিস ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদেরকে। ভাবছে, বিজেপি ঘরে ঢুকে যাবে! আমরা এত নিরীহ নই! চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। পুলিসকে কোর্টে নিয়ে গিয়ে উচিত শিক্ষা দেব'।চুপ করে থাকেনি তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, 'পুলিসের ব্য়ারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে। জনজীবনকে ব্যাহক করে প্ররোচনা দিচ্ছিল বিজেপি। ব্যারিকেড ভাঙলে কী করবে! পুলিস তো বাধা দেবেই! জেনেশুনে নাটক করতে গিয়েছেন। বামফন্ট সরকারের পুলিস থাকলে গুলি চালাত। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকত, গুলি চালাত। বিশৃঙ্খল জনতাকে সরিয়ে দিতে যা যা করা দরকার, শুধু সেটুকু করেছে'।