• 'বিএসএফ আলাদা আইডি দিতে চাইছে, নেবেন না, নিলে এনআরসিতে পড়ে যাবেন'
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোচবিহারের সভা থেকে কোচবিহারের রাজবংশী-সহ অন্যান্যদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণার পাশাপাশি নিশানা করলেন বিজেপিকে। টেনে আনলেন এনআরসি প্রসঙ্গ ও সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড। শুধু তাই নয় রাজনীতি করার জন্য এনআরসির কথা টেনে আনছে বিজেপি।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য় আমরা ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরি করে দিয়েছি। তার চেয়ারম্য়ান সাংসদ শামিরুল ইসলাম। ওই বোর্ডে ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন ২৮ লাখ শ্রমিক। তাদের যদি কোনও বিপদ হয়। তাদের পরিবারের যদি কোনও সমস্য়া হয় তাহলে, তারা যদি ফিরে আসতে চায় তাহলে আমরা তাদের সাহায্য করব। শুধু ভোটার লিস্টে তাদের নামটা রাখতে বলুন যাতে এনআরসির নাম করে নামটা বাদ না দিয়ে দেয়। রাজবংশীরা তো ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিক। নতুন করে ক্যা ক্যা করে চিত্কার করেছে ফ্যা ফ্যা করে রাজনীতি করার জন্য। আপনারা সবাই নাগরিক, আপনাদের সবাইকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি আমরা। সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি। যারা রেশন পায়, স্কুলে যায়্, শিক্ষাশ্রী পায় তারা নাগরিক। নাগরিক না হলে তারা তা পেত? নাগরিক না হলে তারা ভোট দিতে পারতো?ভোটের সময়ে শীতলকুচির ঘটনার কথা টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মনে আছে শীতলকুচির ঘটনা? ভুলে যাননি তো? চারটে ছেলেকে গুলি করে মেরে দিয়েছিল বিএসএফ। কোচবিহারে ওরা যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে মেরে দেয়। গ্রাম গঞ্জে ঢুকে কোনও অত্যাচার করলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করবেন। ওরা ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। এজেন্সি দিয়ে ভোট করাতে চায়। ফোন করে বলে আমাদের দলে না এলে বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেব। কী করবে ইডি? সিবিআই কী করবে? আজ আছে কাল নাই। শীতলকুচি মামলায় কীকরে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেল? আমরা আপত্তি আছে। খুনি যদি জামিন পেয়ে যায় তাহলে কেউ খুন করবে আর বেল পেয়ে যাবে? বিজেপি করলে সাদা। আর তৃণমূল করলে কাদা! চোরগুলোকে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আর তারা সাদা হয়ে বেরিয়ে আসছে। এই হচ্ছে ওদের অবস্থা। জলস্বপ্ন প্রকল্পে আমরা কোচবিহারে ৬ লাখ মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দেব। বছরখানেকের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। উত্তরকন্যায় ফিরে গিয়ে আজ ১০ হাজার চা শ্রমিকদের পাট্টা দেব।জেলের জনজাতিদের কথা টেনে এনে মমতা বলেন, কোচবিহারে বহু রাজবংশী স্কুল ছিল। সরকারের থেকে তারা কোনও মাইনে পেত না। নিজেরাই চালাত। আজ এই সভা থেকে এখানকার ২১০টি রাজবংশী স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে গেলাম। অর্থাত্ ওখানকার শিক্ষকরা সরকারি মাইনে পাবে। আপনারা চেয়েছিলেন নারায়ণী ব্য়াটালিয়ন। সেটা আমরা করে দিয়েছি। এখানে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলেন মানুষ। ওইসব ভাষার স্কুল করে দিয়েছি। বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ অত্যাচারিত। বিএসএফ আলাদা করে আইডি কার্ড দিতে চাইছে। একদম নেবেন না। বলবেন, আমার আধার রয়েছে, রেশন কার্ড রয়েছে। তোমাদের দু'নম্বরি কার্ড নেব না। ওই কার্ড নিলে এনআরসিতে পড়ে যাবেন। সব বাদ দিয়ে দেবে। বিপদে পড়লে আমি আছি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)