জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ৩৪ বছরের বাম শাসনে কোচবিহার ছিল অবহেলিত। আর গত কয়েক বছর তৃণমূল সরকারের আমলে কোচবিহারের জন্য কিছু করতে বাকী রাখেনি তৃণমূল সরকার। সোমবার কোচবিহারে সরকারি পরিষেবা প্রদান ও একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্য়াস অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বামেদের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, এই যে আগেরবারে বিজেপির সাংসদ এখান থেকে জিতেছে, কী করেছে? কিছুই করেনি। আমি করে দিলাম এয়ারপোর্ট। আর বাবু প্লেনে চড়ে এসে বলছে আমি করেছি। যখন রেল মন্ত্রী ছিলাম তখন কোচবিহারের নতুন রেল স্টেশন কে করেছিল? যোগীগোপা ময়নাগুড়ি ভায়া কোচবিহারে লাইন কে করেছিল? চাংড়াবান্ধা, মালবাজার, জলপাইগুড়ি স্টেশন করেছিল? এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে? এরা তো একটা ঘাস পুঁতেও দেখায়নি।গত লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতাদের মুখে ছিল মানুষের ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা। এনিয়ে মমতা বলেন, দেখবেন এরা টিভিতে বলছে আমরা ঘর ঘর জল পৌঁছে দিয়েছি। আপনারা কত টাকা দিয়েছেন? মাত্র ২৫ শতাংশ। বাকী ৭৫ শতাংশ আমরা দিয়েছি। তাহলে দিলটা কে বেশি? জমি নিনে দিচ্ছি, দেখভাল করছি আমরা, তৈরি করছি আমরা আর দালালি করে টিভিতে বিজ্ঞাপণ দিয়ে বলছে আমরা করছি। আমাদের বাবা-মা শিখিয়েছে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। আমি তপসিলি মেয়েদের সঙ্গে নেচেছি। ওদের সঙ্গে মিশেছি। আমাদের শেখাতে হয় না। আমাদের হাতের ৫টি আঙুল আছে। কোনওটা ছোট, কোনওটা বড়। একশো জনের মধ্যে ৫ জন যদি খারাপ কাজ করে তাহলে তার দায় দল নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে। আমি যাচ্ছি রাস্তা দিয়ে, বলছে চোর চোর। এতবড় সাহস! ডাকাতের ডাকাত ওরা। ভারতকে লুট করেছে, বাংলাকে লুট করেছে। কারও পয়সায় চা পর্যন্ত খাই না। মিথ্যে কথা বলার জন্য় জিভ খসে পড়বে।রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কে, উদ্বাস্তু কলোনীতে পাট্টা দিয়েছে কে, মতুয়া ঠাকুর বাড়ি করে দিয়েছে কে, জল্পেশ মন্দির করে দিয়েছে কে? আর ওরা মণিপুরে ২০০ চার্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। আর মহিলাদের উপরে অত্য়াচার করেছে। বড়দিনের ছুটি বাতিল। নেতাজির জন্মদিনে একটা জাতীয় ছুটি দেয়নি। আমি রামায়ণ, মহাভারত মানি, কোরান মানি। আমার বাড়িতে দুইজন তপসিলি মেয়ে রয়েছে। আমার বাড়িতে খায়। আমি ভোটের সময় নাটক করে কোনও তপসিলি বাড়িতে খাই না। ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে শেষপর্যন্ত জিরো হয়ে গেল। ওসব আমি করি না। ডালখোলা থেকে কোচবিহার একটা নতুন ইকোনমিক করিডোর হচ্ছে। এতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে।