• ঢাকা, সুন্দরবন হয়ে কলকাতায় পৌঁছল বাংলাদেশি জাহাজ
    আজকাল | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেলপথ, সড়কপথ, আকাশপথের পর এবার চালু হল জলপথ। বাংলাদেশের এমকে শিপিং লাইনস ও ভারতের কণিষ্ক শিপিং লাইনসের যৌথ উদ্যোগে চালু হল ঢাকা-কলকাতা নৌ পরিষেবা। রবিবার বাংলাদেশের জাহাজ কলকাতার আউট্রাম ঘাটের পুলিশ জেটিতে এসে পৌঁছেছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফের যাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এমভি রাজারহাট-সি। জাহাজটি যাতায়াত করবে দুই বাংলার সুন্দরবন ছুঁয়ে। ভিসা ব্যবস্থাতেও থাকছে সুবিধা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের পর্যটকদের ভিসার ব্যবস্থা করছেন আয়োজকরা। এখন থেকে তিনটি জাহাজ যাতায়াত করবে দুই দেশের মধ্যে। জানা গিয়েছে, জলপথে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই দিন। কলকাতার পুলিশ জেটিতে হবে ইমিগ্রেশন এবং পরীক্ষা করা হবে পাসপোর্ট-ভিসা। ছোট বোর্ডে করে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে একেবারে মাঝ গঙ্গায়। সেখানেই নোঙর ফেলে দাঁড়িয়ে থাকবে বিলাসবহুল এই ক্রুজটি। বোর্ডিং সম্পন্ন হলে ক্রুজ এগিয়ে চলবে ইন্দো বাংলাদেশ প্রোটোকল রোড ধরে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজ, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, সজনেখালি, হেমনগর হয়ে জলপথে সীমান্ত পার করে জাহাজ প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। ওপার বাংলার আংটিহারা, মোংলা, জি এম চ্যানেল, কাউখালি, ঝালকাঠি, বরিশাল ও চাঁদপুর হয়ে তা ঢাকায় প্রবেশ করবে। চারতলা এই ক্রুজে রয়েছে মোট ১০০টি কেবিন। আছে ভিআইপি এবং প্রিমিয়াম কেবিন। এ ছাড়া রয়েছে ডাবল বেড কেবিন, সিঙ্গেল বেড কেবিন। জাহাজে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৩০০ থেকে ৩৪০ জন যাত্রী। শ্রেণী অনুযায়ী এক দিকের যাত্রার মাথাপিছু ভাড়া পড়বে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে, ট্রাভেল ট্যাক্স, ভিসা প্রসেসিং এবং খাওয়া দাওয়া। বর্তমানে সপ্তাহে একদিন করেই এই জাহাজ চলবে ঢাকা-কলকাতা রুটে।
  • Link to this news (আজকাল)