• বইমেলায় সুপারহিট খুদে সাহিত্যিকদের পত্রিকা চরকি
    আজকাল | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • কৌশিক রায়: কলকাতা বইমেলা মানে নামী অনামী লেখকদের বই প্রকাশের মঞ্চ। সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন পাঠকরা। ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সাক্ষী রইল কিছু খুদে সাহিত্যিকের আত্মপ্রকাশের। চারু মার্কেট এলাকার একটি বস্তি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের উল্টোদিকে একটি বস্তি এবং যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি বস্তির কিছু ছেলেমেয়ের লেখা ম্যাগাজিন ‘চরকি’ প্রকাশিত হয়েছে বইমেলায়। সেই খুদে সাহিত্যিকদের নিয়েই বইমেলায় এসেছিলেন যাদবপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু বইয়ের নাম ‘চরকি’ কেন? সংস্থার অন্যতম সদস্য বিশ্বদীপ মিত্র জানালেন, চরকি কখনও এক জায়গায় থেমে থাকে না। ঘুরে বেড়ায়। এই বাচ্চাগুলোও তাই। এই বইটার ৫০০ কপি আমরা ওদের হাতে দিয়ে বলেছিলাম বিক্রি করতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চরকির মত ঘুরে ওরা ৩০০ কপি বিক্রি করে ফেলেছিল। এই কারণেই বইটার নাম চরকি রাখা। শুধুমাত্র ছাপা এবং বাকি কিছু খরচ বাদ দিলে বই বেরোনোর পুরো কৃতিত্বই বাচ্চাদের দিলেন বিশ্বদীপবাবু। তিনি জানান, ‘আমরা যখন ওদের পড়াশোনা করাই, চেষ্টা করি সেটাকে বইয়ের মধ্যে সীমিত না রাখতে। যে বিষয়গুলো তথাকথিত স্কুলের পড়াশোনার গণ্ডির বাইরে সেই সমস্ত জিনিসও ওদের পড়ানোর চেষ্টা করি। সেই আলোচনা থেকেই ওদের দিয়ে বই লেখানোর ভাবনা উঠে আসে। লেখাগুলোকে হয়তো সাজিয়েছি আমরা, কিন্তু বাকি কাজটা ওরাই করেছে’। ৩০ থেকে ৪০ জন বাচ্চা জড়িয়ে এই চরকির সঙ্গে। সবার লেখা হয়তো বইতে প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু কারোর অবদানই কম নয় বলে জানালেন সংস্থার সদস্যরা। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের লেখা রয়েছে বইতে। কী ধরনের লেখা রয়েছে চরকিতে? বিশ্বদীপবাবুর কথায়, ‘বাচ্চারাই ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছে। সেগুলো আমরা প্রকাশ করেছি। ওদের আঁকা ছবি রয়েছে। ওদের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কবিতা রয়েছে, নানা বিভাগের গল্প রয়েছে। বাচ্চাদের চোখে বাকি সমাজটা কী রকম, রয়েছে সেই কাহিনীও’। খুদে সাহিত্যিকদের লেখা বই শুনে নিমেষে কেনার ধুম পড়ে যায় বইমেলায়। আগামী দিনে ‘চরকি’-র পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশিত হবে বলেও জানালেন বিশ্বদীপবাবু।
  • Link to this news (আজকাল)