জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এখন পলাতক। ইডি অফিসারদের উপরে হামলা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার সার্কুলার জারিও করেছে ইডি। সবেমিলিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে বেকায়দায় তৃণমূল। সেই শাহজাহানের নাম যে ঘটনায় উঠে এসেছে সেই সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন সন্দেশখালিতে যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ইডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মিডিয়াকে নিয়ে যাচ্ছে অথচ পুলিসকে জানাচ্ছে না। যারা বিজেপির ছত্রছায়ায় তাদের ডাকে না। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, দুর্নীতি করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা সংবাদমাধ্যমে যা দেখেছি তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আপনি যদি রাজ্য পুলিসের সাহায্য না চান তাহলে একটা সংঘাতের জায়গা তৈরি হতে পারে। তখন কিন্তু স্থানীয় পুলিসকে দায়ী করতে পারেন না। পেছন পেছন ক্যামেরা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সন্দেশখালি। তার মানে কী? কোনও ঘটনা সমর্থন করছি না। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক ও অনভিপ্রেত। কিন্তু কলকাতা থেকে তিন ঘণ্টার রাস্তা। সেখানে আপনি সাকাল আটটায় পৌঁছাচ্ছেন আর সংবাদমাধ্য়ম সেখানে চলে যাচ্ছে আটটা এক মিনিটে। মানে আপনি রেইড করতে যাচ্ছেন, খবর সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে যাচ্ছেন। পুলিস প্রশাসনকে কিছু বলছেন না। তার মানে আপনার উদ্দেশ্যটা কী? আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা সংবাদমাধ্যম জানবে কীভাবে? এনিয়ে হাইকোর্টের অর্ডার রয়েছে। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা না হলেই ভালো হতো। ইডির সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য ইডি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।অভিষেকের ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পুলিসের সহযোগিতায় শাহাজাহানকে দিয়ে ইডির উপরে আক্রমণ করেছে। এটা প্রতিষ্ঠিত। শাহাজাহান কুখ্যাত দুষ্কৃতী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজনীতিতে আসেননি তখন এই ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র প্রকাশ্যে যার ফাঁসি চাইতেন তার নাম শেখ শাহজাহান। বাবু মাস্টার, শাহজাহান, মজিদ মাস্টারের নাম তারা উচ্চারণ করতেন। তার জন্য সিপিএমের সমালোচনা করতেন। এখন তাকে দরকার কারণ এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি, ডিজিকে জানিয়েছি, রাজ্যপালকে বলেছি শাহজাহানের ভূমিকা নিয়ে। তাই তৃণমূল তো এখন ওসব বলবেই।