• ‌‌মনরেগার টাকা বকেয়া, রাস্তা অবরোধ ত্রিপুরার একাধিক ব্লকে ...
    আজকাল | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • সমীর ধর,‌ আগরতলা:‌ ত্রিপুরার পুর ও নগর সংস্থাগুলোয় বহু কোটি টাকার কোনও হিসেব নেই। সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা কেন্দ্রীয় সরকারের সিএজি রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। এর আগে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো থেকেও বিপুল পরিমাণ সরকারি টাকার হিসেব না পাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, বিভিন্ন ব্লকে মনরেগার বকেয়া মজুরি মেটানোর দাবিতে শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত পথ অবরোধের খবর মিলছে। সোমবার সকাল থেকে উত্তর গন্ডাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিনমজুররা গাছ ফেলে পাঁচ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুজোর আগে মনরেগার কাজ করে এখনও মজুরি মেলেনি। ২০ থেকে ২৫ শ্রমদিবসের মজুরি বাকি। এখন কাজও নেই। বৃদ্ধ–ভাতা মিলছে না পাঁচ মাস। পুলিশ এবং গন্ডাছড়ার বিডিও–র আশ্বাসে অবরোধ উঠলেও শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা কবে পাবেন তার স্পষ্ট কোনও আশ্বাস পাননি। এরকম অবরোধ বিক্ষোভের খবর মিলছে বিভিন্ন ব্লক থেকে। এটা ঘটনা, দুই–তৃতীয়াংশের বেশি পঞ্চায়েত থেকে মনরেগার কাজের হিসেব নেই। ফলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে পারছে না দপ্তর। কেন্দ্রও বরাদ্দ টাকা আটকে রাখছে। এদিকে, বিধানসভায় সম্প্রতি পেশ করা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টে সাধারণ আর্থিক নিয়মাবলি বা জিএফআর (জেনারেল ফিনান্সিয়াল রুলস) লঙ্ঘনের জন্য রাজ্য বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই রুলসের ২৩৮(১) ধারা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থাগুলোকে প্রাপ্ত টাকা খরচের পুরো হিসেব পেশ করতে হয়। ১১টি পুর ও নগর সংস্থার ২০১৮–১৯ থেকে ২০২০–২১ এই তিন বছরের হিসেব পরীক্ষা করেই সিএজি–র আক্কেল গুড়ুম অবস্থা। এই সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পে যে ১০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তাদের দেওয়া হয়েছিল, তার ৯ কোটি ১৬ লক্ষ টাকারই হদিশ নেই। নেই কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট। কোথায় কী কাজে এই টাকা খরচ হয়েছে তার নাম নিশানও পায়নি সিএজি। এ ব্যাপারে সরকারি দপ্তরেরও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকারও সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। অন্যদিকে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য শহরাঞ্চলে মনরেগার ধাঁচে রাজ্য সরকার এক সময় যে ‘‌টুয়েপ’‌ চালু করেছিল তা কার্যত বন্ধের মুখে। সিএজি বলেছে, উল্লিখিত সময়ে কোনও সামাজিক অডিট হয়নি টুয়েপের।
  • Link to this news (আজকাল)