• রীল লাইফ থেকে ভোটের ময়দানে তামিল তারকা বিজয়
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • চেন্নাই, ৩০ জানুয়ারি: দক্ষিণী তারকা থলপতি বিজয় এবার দলপতি হতে চলেছেন। নাম লেখাচ্ছেন রাজনীতিতে। তবে প্রতিষ্ঠিত কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না ‘লিও’ ছবি খ্যাত এই অভিনেতা। বরং নিজেই একটি দল গড়ে রাজনীতির ময়দানে নিজের বিজয়যাত্রা শুরু করতে চান অভিনেতা বিজয়।
    তামিল ও দক্ষিণী রাজনীতিতে এটা আকচার ঘটে থাকে। সিনেমার জগৎ থেকে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে চলে আসা ও সরকার গঠন করা। এমজিআর, জয়ললিতা, কমল হাসান, উদয়নিধি স্ট্যালিন তাঁর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এবার সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন থলপতি বিজয়। ইতিমধ্যেই তাঁর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। দলের নাম ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই নিজের দলের লোগোও প্রকাশ করতে চলেছেন বিজয়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালে তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনেই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি।
    প্রায় ৬৮টি তামিল ছবিতে অভিনয় করেছেন বিজয়। প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে হিট! দারুণ ব্যবসা করেছে সেই সিনেমাগুলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বড় ফ্যানবলয় তৈরি করেছেন এই তামিল হিরো। এবার সেই ফ্যানদের সমর্থনকে সম্বল করে রীল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফে নির্বাচনে লড়বেন এই তামিল তারকা।
    তবে বিজয়ের এই রাজনীতিতে আসাটা একেবারে আকস্মিক নয়। সমাজসেবার প্রতি বিজয়ের দায়বদ্ধতা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এমনকি তাঁর রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও)। যার মাধ্যমে তিনি নানা সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন বিজয়। সেই সামাজিক কাজ করার সুবাদে বিজয়ের মনে দেশসেবার সুপ্ত বাসনা হয়তো আগে থেকেই ছিল। তাই রাজনীতির ময়দানে নেমে নিজের সামাজিক কাজকে আরও বিস্তৃত রূপ দিতে চাইছেন এই দক্ষিণী তারকা।
    বিশেষ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ দলকর্মীকে নিয়ে দলের রেজিস্ট্রেশনের জন্য বৈঠক সেরে ফেলেছেন বিজয়। তিনিই হবেন এই দলের সভাপতি। যদিও এখনও পর্যন্ত দলের নাম ঠিক হয়নি। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করাটা বিজয়ের পাখির চোখ হলেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়াটা তাঁর পক্ষে অসম্ভব নয়। কারণ তাঁর ভক্তরা চান তাঁর সংগঠন আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।
    উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই সময় বিজয় ও তাঁর ফ্যানেরা বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন। তাঁরা উদ্ধার কাজেও হাত লাগান। বিজয়ের ফ্যান ক্লাবের শীর্ষ পদে থাকা কয়েকজন তামিলনাড়ুর স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সফলতা পেয়েছিলেন। এছাড়া তামিলনাড়ুর থুথুকুড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত মানুষদের পাশে দাঁড়ান এই অন্যকে। তখন তিনি এইসব সমস্যার প্রতিকারে রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)