'দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করা'য় ১০ বছরের কারাদণ্ড ইমরানের!
২৪ ঘন্টা | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইমরান খানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম টালমাটাল চলছিল পাকিস্তনে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। এবার 'দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করা'য় ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হল ইমরানের! সাইফার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের আদালত।
আজ, মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক বিশেষ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আদালত এই রায় দিল। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে মামলার শুনানি হয়। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট অবশ্য ইমরান ও শাহ মাহমুদের বিচার বাতিল এবং অকার্যকর ঘোষণা করেছিল। তার পরই অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ২০২৩-এর আওতায় এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। তারাই আজ সাইফার মামলায় ইমরান এবং শাহ মাহমুদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল।ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেড়শোরও বেশি মামলা রয়েছে। ২০২৩-এর ৫ অগস্ট তোষাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পাক আদালত। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের এই সাজা পরে স্থগিত করে। তবে, পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ইমরানের সাজা স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পরেই ইমরান খান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য বলে ঘোষণা করে পাক নির্বাচন কমিশন।ইমরান এবং শাহ মাহমুদ দুজনেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাঁদের অভিযোগ, সাইফার মামলার পিছনে কিছু প্রভাবশালী লোকজন রয়েছে। তারাই তাঁদের (ইমরান এবং শাহ মাহমুদ) ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বিচার প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেছিলেন ইমরান। তিনি অভিযোগ করেন, বিচারক এবং আবেদনকারী-- উভয় পক্ষই সরকারের। কাজেই এক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের আশা নেই।কী এই সাইফার মামলা? গোপন কূটনৈতিক তথ্য হল সাইফার। ইমরান খানের বিরুদ্ধে এরকম এক সাইফার ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। ২০২২ সালের মার্চে ওয়াশিংটনের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাঠানো হয়েছিল সাইফারটি। ইমরান সেই কূটনৈতিক তথ্য হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ইমরান এবং শাহ মাহমুদ খুরেশি দুজনেই এই অভিযোগকে পাকিস্তানে পিটিআই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। ইমরান এবং তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল।