ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল খড়গপুর মহকুমার একাধিক এলাকা! আজ, মঙ্গলবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেল খড়গপুর মহকুমার সবং, পিংলা, ডেবরা-সহ খড়গপুর এবং নারায়ণগড় এলাকা। মঙ্গলবার ভোর থেকেই কুয়াশা জমতে শুরু করে। এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে যদিও-বা গাড়ি চলে তা খুব কম সংখ্যকই। কুয়াশার ঘনত্ব এতই বেশি ছিল যে, ১০-১২ ফুটের মধ্যে কোনও কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছিল না। ঘন কুয়াশার কারণে ১৫-২০ কিমির বেশি গতিতে যেতে পারছে না কোনও গাড়ি। সব গাড়িই ফগ লাইট জালিয়ে চালাচল করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও একই ছবি এলাকা জুড়ে। রাস্তাঘাট শুনশান, রাস্তায় যানবাহন হাতেগোনা। কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে। ভোরের পরে সকাল, এমনকি বেলা গড়ালেও ঘন কুয়াশার দাপট কমেনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, গড়বেতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। সকালের পরেও কুয়াশা এমন ঘন থাকে যে, এর জেরে রাস্তায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। আলো জ্বেলে ধীর গতিতে যানবাহন চলতে দেখা যায় রাজ্য সড়কে, এমনকি গ্রামীণ রাস্তাগুলিতেও।আজ সকাল থেকে আসানসোলেও কুয়াশার দাপট। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। কুয়াশার কারণে রাস্তার দৃশ্যমান্যতা কমে যায়। এর ফলে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে আলো জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করে যানবাহন।কুয়াশায় ঢাকল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলও। সকাল দশটার পরে কুয়াশার দাপট একটু কমলেও সূর্যের মুখ কিন্তু দেখা যায়নি।
মাঘের মাঝামাঝি রাজ্যে ঢুকছে জোড়া পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। বেড়েছে তাপমাত্রাও। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরও ঢেকেছে কুয়াশায়। রাস্তাঘাটে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট ব্যবহার করছেন গাড়ির চালকেরা।কাঁথি দিঘা-নন্দকুমারের দিকেও একইরকম কুয়াশাছবি। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন ১২ জন যাত্রী। ট্যাংকারের ড্রাইভারকে গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে বার করতে হয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁর। এর জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় দুর্ঘটনাস্থলে।