• 'আইনের মন্দিরে এটা মানা যায় না', বিচারপতিদের লড়াইয়ে 'লজ্জিত' প্রধান বিচারপতি!
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: বিচারপতিদের নাম নিয়ে ঘটনা। নাম না করে দুঃখ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, "দেশের ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট হল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি জন মানসে প্রভাব ফেলবে। আইনের এই মন্দিরে এটা মানা যায় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্যে লজ্জিত এবং দুঃখিত।" প্রসঙ্গত, সুপ্রিম নির্দেশে মেডিক্যাল মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে সরে গিয়েছে। হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে বড় মোড় মেডিক্যাল মামলায়। মেডিক্যাল দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি এবার শীর্ষ আদালতে হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিশেষ বেঞ্চ। মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ৩ সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারিতে সুযোগ পেতে ভুয়ো জাতি শংসাপত্রের অভিযোগে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু  সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরেও, সিবিআই-কে এফআইআর-এর নির্দেশে অটল থাকেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অবৈধ। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে পালটা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। একইসঙ্গে সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শুরু করারও নির্দেশ দেন তিনি।দুই বিচারপতির এহেন বেনজির সংঘাতে শেষমেশ স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে শীর্ষ আদালত। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিশেষ বেঞ্চে শুনানি হয়। সুপ্রিম শুনানিতে শনিবার সিঙ্গল বেঞ্চের সমস্ত নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এরপর সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে ও শুনানি হয়। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের হয়ে  সওয়াল করেন কপিল সিব্বাল। তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে দরবার করেন, "বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লাগাতার রাজ্য বিরোধী নির্দেশ দিচ্ছেন। একজন বিচারপতি লাগাতার এই ধরণের নির্দেশ দিয়ে চলেছেন। সংরক্ষিত আসনে আরও কিছু পড়ুয়া চেয়ে মামলা করতে চায় সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এখনও এই ধরনের মামলা গ্রহণ করছেন। ভবিষ্যতে তিনি আবারও করতে পারেন। তাই হস্তক্ষেপ করুন।" ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি অভিযোগ করেন, "শুধু এই মামলা নয়, অন্য অনেক মামলাতেও আমার মক্কেলকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।" যে পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এই বিষয়গুলো দেখবেন। কোন মামলা কোন বিচারপতির বেঞ্চে যাবে সেগুলো উনি দেখবেন। প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।" 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)