জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এমন একটি প্রাণীর খোঁজ মিলল, যাকে নিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চের শেষ নেই। আদৌ টিকে আছে প্রাণীটি? থাকলে কটাই-বা আছে? কোথায় আছে? প্রাণীটি কি সত্যিই বিপন্ন? এনডেঞ্জার্ড?
এতগুলি প্রশ্নের উত্তর মিলল একটি মাত্র পরিসংখ্যানেই। ৭১৮টি ওই প্রাণীর খোঁজ মিলেছে। কোন প্রাণী? স্নো লেপার্ড! নিউ দিল্লিতে হয়ে গেল ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফের মিটিং। সেই মিটিংয়েই এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হল। স্নো লেপার্ড নিয়ে জরুরি এই কাজটি করেছে 'ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া' (WII)। স্নো লেপার্ড সংক্রান্ত এই তথ্যটি ওই মিটিংয়ে পেশ করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপিন্দর যাদব।স্নো লেপার্ড গণনার এই প্রোগ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে 'স্নো লেপার্ড পপুলেশন অ্যাসেসমেন্ট ইন ইন্ডিয়া' বা এসপিএআই (SPAI)। ভারতে এই ধরনের কাজ এই প্রথম। প্রথাভাঙা একটা কাজ। রীতিমতো পথিকৃৎসম। স্নো লেপার্ড থাকতে পারে দেশের মধ্যে এমন যে-পরিমাণ এলাকা রয়েছে তার অন্তত ৭০ শতাংশ অঞ্চলে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সবটাই ট্রান্স-হিমালয়ান রিজিয়ন। এর মধ্যে পড়ে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সমীক্ষার কাজটি হয়েছে। দুটি ধাপে কাজটি করা হয়েছে। এর জন্যে ব্যবহৃত হয়েছে ক্যামেরা ট্র্যাপ।কোথায় কটি স্লো লেপার্ডের খোঁজ মিলল? লাদাখে সবচেয়ে বেশি। ৪৭৭টি। এর পর আছে উত্তরাখণ্ড-- ১২৪টি। এর পরেই হিমাচল প্রদেশের অবস্থান, এখানে আছে ৫১টি তুষারচিতা। অরুণাচল প্রদেশে ৩৬টি, সিকিমে ২১টি, জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি।এতদিন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এত খুঁটিয়ে সমীক্ষা করা যেত না। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা ছিল। তবে এবার থেকে কয়েক বছর পর পর কাজটি করা হবে। তা থেকে লেপার্ড সংক্রান্ত যে-তথ্য মিলবে, তার উপর নির্ভর করে লেপার্ড সংরক্ষণ সংক্রান্ত পরবর্তী ভাবনাচিন্তার রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।