পাহাড়েও এবার শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি', নাম জড়াল TMCP নেতার!
২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
অর্ণবাংশু নিয়োগী: পাহাড়েও এবার শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। কীভাবে? নাম জড়াল এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার! হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য জমা দিল CID। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলার সূত্রে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একটি চিঠি জমা দিয়েছে CID। কবে? আজ, মঙ্গলবার।সূত্রের খবর, বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে ওই চিঠিটি লিখেছেন এক সরকারি আধিকারিক। চিঠিতে উল্লেখ, জিটিএ এলাকার ৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, বেআইনি এই নিয়োগ দু'জনের মস্তিষ্কপ্রসূত। একজন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, আর একজন জিটিএ-র প্রাক্তন নেতা। সাহায্যকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা। সঙ্গে ডিআই-ও!কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকে সংঘটিত করে। এই দুর্নীতি কোনও জেলায় সীমাবদ্ধ নয়। যে দুর্নীতির জঙ্গমহলের হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই সেটা পাহাড়ে পৌঁছবে। এমন কোনও সরকারি দফতর নেই, কোনও নিয়োগ নেই, যেখানে তৃণমূল দুর্নীতির ছোঁয়া নেই। যদি তদন্ত শুরু হয়, তাহলে সেই তদন্ত শেষ করতেও আর এক দশক সময় লাগবে।তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, 'তৃণমূল কখনই বলেনি যে কেউ দোষ করে থাকলে রেয়াত করা হবে। আমরা বিচার চাই, দ্রুততার সাথে বিচার চাই। দল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মতো হেভিওয়েট নেতাকে রেয়াত করা হয়নি। দল তাঁর পাশে থাকেনি, সংগঠন তাঁর পাশে থাকেনি, সরকার তাঁর পাশে থাকেনি'।