রাতে সরকারি হাসপাতালে পায়ের এক্স-রে হল না, ক্ষুব্ধ রাজ্যের মন্ত্রী
২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
অরূপ লাহা: সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে না করতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে চোট পান রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তার ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে আঘাত লাগে। সন্ধ্যা হতেই ব্যাথা ক্রমশ বাড়তে থাকায় তিনি চিকিৎসার জন্য যান মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দেখার পর জানানে হয় এক্স-রে করার প্রয়োজন আছে। এরপর মন্ত্রী এক্স-রে করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতাল থেকে তিনি জানতে পারেন হাসপাতালে ওপিডি-র সময় এক্স-রে হলেও রাতে এক্স-রে করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
রাতে এক্সরে হয় না শুনেই বেজায় চটে যান সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেন, এতবড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না! আমার জানা ছিল না। সবকিছু জেনে অবাকও হয়ে যান মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গাড়ি চেপে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেই বলেন, টয়লেটে থেকে বেরতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। ডান দিকের কড়ে আঙুলে লেগেছে। বরফ দিয়েছিলাম। রক্ত জমে আছে বলে মনে হচ্ছে। ডাক্তারবাবু বললেন এক্স-রে করাতে হবে। এক্স-রে এর যা সিস্টেম শুনছি তাতে ওপিডির টাইমে তাঁরা আসেন। এরপর অন্য সময়ে তারা থাকেন না। এতবড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না এটা আমার জানায় ছিল না। পরক্ষণেই তিনি আরও জানান,আমি চেষ্টা করব যাতে মানুষের সুবিধার্থে রাতেও এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যে এখন ৪২টি সুপার স্পেশালিষ্টি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো পরিষেবা দেওয়ার। আমি নিজে সরকারি হাসপাতালে দেখাই। প্রাইভেটে দেখাই না।রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যেই খোদ মন্ত্রীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সুযোগ পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর এক্স-রে হাসপাতালে হয় না। তাঁকে ফিরে যেতে হয় সেখানে সাধারণ মানুষের কী হাল হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।