জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গাজায় পরিস্থিতি দিন-দিন খারাপ হচ্ছে। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, শিশুরাও অভুক্ত, সদ্যোজাতেরাও যথাযথ সুরক্ষা পাচ্ছে না। খুবই মর্মান্তিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি নিয়ে ঘোর উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা 'হু'ও। এর আগে গাজায় মানুষের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা 'হু' বলছে, প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে খাবারের ব্যাপক সংকট থাকা সত্ত্বেও সেখানে তারা খাবার সরবরাহ করতে পারছে না। নানা রকম অসুবিধা সেখানে। তল্লাশি কেন্দ্রগুলিতে বিলম্বের ফলে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহের পর এক ত্রাণকর্মী বলেন, খাবার নিতে আসা মানুষের ভিড়ে দুজনকে দেখলাম দম বন্ধ হয়ে আসছে। প্রচুর লোকজনের ভিড়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকায় খাদ্য সরবরাহও তেমন করা যায়নি।মৃতদের নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইজরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া প্যালেস্টাইনিদের দেহ সৎকারের সময়ে এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন-- এঁরা (মৃতেরা) কোথায় আহত হয়েছিলেন, এঁদের নাম-পরিচয়ই বা কী, সেসব কিছুই আমরা জানি না!রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের আল-আমল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। এখন তারা চিকিৎসকদের এবং বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনিদের এলাকা ছাড়তে বলছে।২০০৫ সালে ইজরায়েল একতরফা ভাবে গাজা থেকে তাদের সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেয়। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬৭ সাল থেকে তাদের দীর্ঘ অবস্থানের অবসান হয়। তবে সেনা সরিয়ে নিলেও গাজা সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইজরায়েলের হাতে থেকে যায়। গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে ইজরায়েল সরকার গাজার মানুষদের উৎখাত করা বা গাজা উপত্যকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ইঙ্গিতও করেনি। তবে মন্ত্রী বেন-গ্যভির যুক্তি দেখিয়েছেন, গাজা থেকে প্যালেস্টাইনিদের চলে যাওয়া এবং সেখানে নতুন করে ইজরায়েলি বসতি গড়ে তোলাটাই সঠিক, ন্যায্য, নৈতিক ও মানবিক সমাধান হবে! ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ২৬৭৫১ জন নিহত হয়েছেন। আর হামাসের হামলায় ইজরায়েলে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছেন।