'সিপিআইএম-এর সঙ্গে যারা ঘর করে, তাদের ক্ষমা করি না, একাই লড়ব'
২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবারও একলা চলার বার্তা মমতার। মালদার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অনেক দল আছে, যারা ভোটের সময় কুহু কুহু করে আসে। আমরা একাই লড়ব। বিজেপিকে ভারতে যদি কেউ হারাতে পারে, তো সেটা তৃণমূল-ই পারবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল।" একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোট ভাঙার দায় অনেকখানি সিপিআইএম-এর ঘাড়েও চাপান তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙার জন্য বামেদের দায়ি করেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, "আমাকে সিপিআইএম অনেক মেরেছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত মেরেছিল। ওদের ক্ষমা করব না। আর সিপিআইএম-এর সঙ্গে যারা ঘর করে, আমি তাদের ক্ষমা করি না। কংগ্রেসকে বললাম, ২টো সিট দিচ্ছি। বলল, না অনেক সিট চাই। বললাম, একটাও দেব না। তুমি আগে সিপিআইএমের সঙ্গ ছাড়ো।"জোট প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কংগ্রেসকে বললাম, তোমাদের কোনও বিধায়ক নেই, আমি মালদায় ২টো আসন দিচ্ছি। আমরা-ই জিতিয়ে দেব। কিন্তু ওরা বলল, না। আমাদের অনেক চাই। আমি বললাম, একটাও দেব না। তুমি আগে সিপিআইএমের সঙ্গ ছাড়ো।" তৃণমূল নেত্রী ইন্ডিয়া জোটে আগেই সিপিআইএমের 'দাদাগিরি' করার অভিযোগ তুলেছেন। এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, "আমাকে সিপিআইএম অনেক মেরেছে। আর আজ সিপিআইএম ওদের নেতা হয়েছে।" আরও তোপ দাগেন, "কংগ্রেস, সিপিআইএম- সব বিজেপির হাত ধরে চলছে। এরাই বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে।"প্রসঙ্গত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীতে রুষ্ট তৃণমূল আগেই ইন্ডিয়া জোট ছাড়ার বার্তা দিয়েছে। বাংলায় অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, "বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব আফটার ইলেকশন ভাবব।" এমনকি জোট ইস্যুতে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। অভিষেক বলেন, "ধৈর্যের সীমা থাকে। গত ৭ মাসে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিচ্ছু বলেনি। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীকে বারবার আক্রমণ করেছেন অধীর। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন।" তাহলে জোটের ভবিষ্যৎ কী? যে প্রশ্নে অভিষেক জানান, "কংগ্রেস নিয়ে তৃণমূলের কী অবস্থান, আমাদের দলের সভানেত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন। আমরা একাধিকবার কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শেষ যে মিটিংটা হয়েছিল দিল্লিতে, সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমাঝোতা শেষ করে কে কোথায় লড়বে, সেটা স্পষ্ট করুন। বারবার বলার পরেও হয়নি। কোনও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। কেউ যদি করতে না চায়, আমি কিছু বলতে পারি না।"