মালদহে ভাঙল রাহুলের গাড়ির কাচ, অধীর বললেন ঢিল মেরেছে; জয়রামের মুখে অন্য কথা
২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
মৌমিতা চক্রবর্তী: বুধবার মালদহে সভা, পদযাত্রা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দিনেই বিহার থেকে ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা নিয়ে মালদহে ঢুকলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে দেখতে বিপুল মানুষের ভিড় জমে য়ায়। বিহারের কাটিহার হয়ে মালদহে ঢুকেছেন রাহুল গান্ধী। কাটিহারে ভিড়ের চাপে ব্যাকিকেড ভাঙার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। আর মালদহের ভালুকায় প্রবল ভিড়ে ভাঙল রাহুলের গাড়ির পেছনের কাচ। কিন্তু কীভাবে কাচ ভাঙল তা নিয়ে অধীর চৌধুরী ও জয়রাম রমেশের মুখে ভিন্ন কথা।
বিহার থেকে আজ রাহুল গান্ধী মালদহের ভালুকায় ঢুকছেন এই খবর আগে থেকেই ছিল কংগ্রেস সমর্কথদের কাছে। খবর পেয়েছে সকাল থেকে ভালুকা মোড়ে প্রবল ভিড় তৈরি হয়ে যায়। ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে অধীর চৌধুরীকে মাইক হাতে বলতে হয়ে এরকম ভিড় হলে রাহুল গান্ধী বাইরে আসতে পারবেন না। বিহার-বাংলার সীমান্তের ওই এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তা খুব বেশি ছিল না। রাহুল শেষপর্যন্ত বাস থেকে হাত নাড়েন সমর্কথকদের উদ্দেশ্য। এদিকে রাহুলকে যখন বাস থেকে একটি ছোট গাড়িতে নিয়ে আসা হয় তখন ভিড়ের চাপে সেই গাড়িরে পেছনের কাচ ভেঙে যায়।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি প্রশাসনের অসহযোগিতা প্রথম দিন থেকেই ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার সংস্কৃতি হল অতিথি দেব ভব। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকলেও আমরা কাউকে অতিথেয়তার ক্ষেত্রে অবজ্ঞা করি না। তার পরেও সেই কোচবিহার থেকে রাহুল গান্ধীকে অপমান করা হচ্ছে। তাঁকে প্রতিবন্ধকতার মুখে ঠেলে দেওয়া, তাঁকে বলতে না দেওয়া, সভা করতে না দেওয়া যত রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যায় তা করা হয়েছে।রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙা নিয়ে অধীর বলেন, পেছন থেকে কেউ ঢিল মেরেছে তাই ভেঙেছে। আমি তো গাড়ির মধ্যে ছিলাম। বুঝতে পারিনি। এদিকে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামশ বলেন, কেউ ঢিল মারেনি। জনতার চাপে কাচ ভেঙেছে। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় থামবে না। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায় কোনও গলদ হবে না। গাড়ির কাচ ভাঙা ছোট ঘটনা। কিছু দুষ্কৃতী রাজ্য সরকারের বদনামের জন্য ওই কাজ করতে পারে।ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে এতটা নিশ্চিত কী করে হলেন অধীর। যা হয়েছে তা হয়েছে সীমান্তে। কয়েক দিন আগে নীতীশ জোট ছেড়ে বিরোধী হয়ে গিয়েছেন। তার একটা রিপারকেশন হতে পারে। অধীর যখন নিশ্চিত না হয়ে বাংলার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন তখন আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে অধীর চৌধুরীর দলবল ওই কাণ্ড করেছে। তার দলবলবই পোস্টার ছিড়েছে।