বিশ্বজিৎ মিত্র: দার্জিলিংয়ের লেবু এখন অতীত। সে জায়গায় কিছুটা হলেও বাজার দখল করেছে নাগপুর, ভুটান ও পাঞ্জাবের লেবু। বাজারে এখন যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই নাগপুরের লেবু এবং পাঞ্জাবের লেবুতে বাজার ছেয়ে রয়েছে। যদিও স্বাদ এবং গন্ধের দিক থেকে বিচার করলে দার্জিলিয়ের কমলার আশেপাশে কোনও লেবু স্থান পাবে না। কিন্তু বর্তমানে সঠিক পরিচর্যার অভাব এবং গাছ পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে দার্জিলিংয়ের লেবু সেভাবে আর ফলন দিচ্ছে না।এখন আমাদের এই রাজ্যে প্রচুর জমি রয়েছে যেখানে কমলালেবু এবং মৌসুম্বি লেবুর চাষ সম্ভব। যা থেকে কিছুটা রোজগার করতে পারবেন চাষিরাও। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচারের ছাত্র-ছাত্রীদের তাই নাগপুরের জলগাঁওতে উন্নত প্রযুক্তিতে লেবু চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করল। নাগপুরের জলগাঁও এলাকায় যেখানে মূলত লেবু গাছের চারা থেকে শুরু করে কী করে মিষ্টি ও সুস্বাদু লেবু ফলানো হবে, তারই হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর এ রাজ্যের চাষযোগ্য জমিতে সেই লেবু চাষের প্রশিক্ষণ কৃষকদেরকে দেওয়া হবে। মূলত এই সমস্ত এলাকায় অত্যন্ত কম খরচে ও জলের অপচয় বন্ধ করে হাইটেক পদ্ধতিতে ইসরায়েলের পদ্ধতি অবলম্বন করে ফসল ফলাচ্ছেন চাষিরা। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চারা তৈরি করে বিতরণ করলে ভালো লাভও আসবে। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম এলাকাতে মৌসম্বি লেবু চাষ হচ্ছে। এবারে লক্ষ্য কমলালেবুর চাষ।