• তাক লাগানো হলুদ-গোলাপি ফুলকপিতেই স্বাদে-গুণে চমক! লুকিয়ে লাভের অঙ্কও...
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
  • কিরণ মান্না: সাদা নয়। সাদার বদলে এবার হলুদ আর গোলাপি।  হলুদ ও গোলাপি ফুলকপি! এক্কেবারে অভিনব। যথেষ্ট নতুনত্ব। স্বাদে-গুণে সাদা ফুলকপির থেকে ঢের ভালো। কোনও রং প্রয়োগ করে নয়, শংকরায়ন পদ্ধতিতে রং-বেরঙের এই ফুলকপি চাষ নজর কেড়েছে সকলের। লাভজনক দিশা দেখাচ্ছে চাষিদেরও। এমন রঙিন ফুলকপির যথেষ্ট কদর বাজারেও।প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে নতুনত্ব চাষ করার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথ মাজির। সেই ২০১৩ সাল থেকে প্রমথ মাজি সবুজ ফুলকপি অর্থাৎ ব্রকোলি চাষ করে আসছেন। কখনও তিনি ক্যাপসিকাম কখনওবা বিভিন্ন রকম বিদেশি সবজিও চাষ করেছেন। তবে গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করতে শুরু করেছেন তিনি। এবছর প্রায় ২ বিঘে জমি জুড়ে কয়েক হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন প্রমথ মাজি। এর পাশাপাশি তিনি ব্রকোলিও চাষ করেছেন।প্রমথ বাবুর ভাষায় এবছর বাজারে রঙিন ফুলকপির যথেষ্ট কদর রয়েছে। বাজারে গড়ে ৪০ টাকা করে বিক্রি করছেন এই রঙিন ফুলকপি। যা সাদা ফুলকপির ক্ষেত্রে পাইকারি দরে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিকোচ্ছে এখন। স্থানীয় দেউলিয়া, কোলাঘাট এবং খুকুড়দহ সবজি বাজারে  তিনি এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন। এছাড়া অনেকে তাঁর বাড়ি থেকেও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর চাষ করা এই রঙিন ফুলকপি। স্বাদে-গুণেও ভরপুর এই ফুলকপি। এখানে কোনও রং ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ শংকরায়ন পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে রং-বেরঙের ফুলকপি। তাঁর এই সবজি চাষ দেখার জন্যও বহু কৃষক আসছেন তাঁর এই ফুলকপি ক্ষেতে।তিনি জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে তিনি এই চাষ করছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে যাতে রঙিন ফুলকপি বাজারজাত করতে পারেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তিনি এই চাষ করছেন। বর্তমানে প্রতিদিনই বাজারজাত করছেন তাঁর চাষ করা এই রঙিন ফুলকপি। সাধারণ ফুলকপি থেকে এই ফুলকপির বাজারে যথেষ্ট দাম রয়েছে। প্রমথ মাজি আরও জানান, আগামী বছর আরও বৃহৎ আকারে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি ডেসিমেলে ১৫০ টির মত চারা লাগে এবং লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫  দিনের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন কৃষক। সবমিলিয়ে সাধারণ ফুলকপির থেকে অনেক বেশি লাভদায়ক এই রঙিন ফুলকপি। দাবি প্রমথ বাবুর।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)