• ইডি-র হাতে গ্রেফতার হেমন্ত সোরেন, সরকার গঠনের দাবি চম্পাইয়ের
    আজ তক | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • Hemant Soren Arrested: হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। বুধবার জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অর্থ পাচার কেসে হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যায় ED। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাসভবনেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন বিকেল থেকেই হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল। 

    এরপর রাত ৮.২৫ নাগাদ বেরিয়ে আসে হেমন্ত সোরেনের কনভয়। সেটি রাজভবনে প্রবেশ করে। গাড়ি থেকে হাসিমুখে 'ভিকট্রি সাইন' দেখাতে দেখাতে প্রবেশ করেন। রাজভবনে প্রবেশ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। তারপরই রাত ১০ টা নাগাদ খবর আসে, ইডি গ্রেফতার করেছে হেমন্ত সোরেনকে। 

    বুধবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ, বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন সোরেন সমর্থকরা। মাথায় হেলমেট ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে পৌঁছান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। শান্তি বজায় রাখতে রাঁচির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি কর হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তদারকি করার জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। 

    নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন চম্পাই সোরেন

    ইতিমধ্যেই দুইটি বড় বাসে সোরেনের সমর্থক বিধায়করা এসে পৌঁছান। ক্ষমতাসীন জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের বিধায়করা (এর মধ্যে আরজেডি এবং কংগ্রেসও রয়েছে) হেমন্ত সোরেনের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পরের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। মূলত দুইটি নাম উঠে আসে। প্রথমটি হল, হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। অপরজন সিনিয়র মন্ত্রী ও JMM নেতা চম্পাই সোরেন। পরে বুধবার ৮.২০ নাগাদ চম্পাই সোরেনকে বিধায়কদের নয়া নেতা হিসাবে নির্বাচন করা হয়। তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করার পক্ষে সওয়াল করেছেন JMM বিধায়করা। 

    JMM বিধায়কদের তরফে দাবি করা হয়, তাঁরা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে রাজি রয়েছেনয। তবে বিধায়কদের অভিযোগ, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়নি রাজ্যপালের তরফে। মাত্র ৫ জন বিধায়ককে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। 

    এদিকে এদিন সকাল থেকেই রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়। এছাড়া ডিজিপি এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন। ৪০ ঘণ্টা জোর জল্পনার পর হঠাৎ দিল্লি থেকে রাঁচিতে এসে পৌঁছেছিলেন হেমন্ত সোরেন। দিল্লি থেকে রাঁচি পর্যন্ত ১,২৫০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা সড়কপথেই এসেছিলেন তিনি। রাঁচি এসেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সিনিয়র নেতা এবং সহযোগী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনও। যদিও তিনি বিধায়ক নন।

    জেএমএম বলছে, বৈঠকে আরও বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কোনও নাম ছাড়াই সমর্থন করে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বিধায়করা। 

    এর আগে মঙ্গলবার হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাড়িসহ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। হেমন্তের দিল্লির শান্তিনিকেতনের বাসভবন থেকে নগদ ৩৬ লক্ষ টাকা, দুইটি বিলাসবহুল গাড়ি ও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা।
  • Link to this news (আজ তক)