• টার্গেট মিড ডে মিলের গুদামঘর, হাতির হানা অতিষ্ঠ পড়ুয়াদের ক্লাস মাঠে
    ২৪ ঘন্টা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • নারায়ণ সিংহ রায়: সপ্তাহখানেক ধরে একাধিকবার হাতির হানায় অতিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রামবাসীরা। বিগত রবিবার থেকে পরপর হাতির হানা মিড ডে মিলের গুদামঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির সন্নিকটে বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের ছোটা ফাপড়ি এলাকায়। বৈকুন্ঠপুর বনাঞ্চল লাগোয়া ছোটা ফাপড়ির নেপালি প্রাইমারি স্কুল। বিগত কয়েকদিন ধরে বনাঞ্চল থেকে হাতি হানা দিচ্ছে স্কুলে। মঙ্গলবার রাতে ফের হাতি হানা দেয় স্কুলে।

    মিড ডে মিলের ঘরে ঢুকে সেখানে তান্ডব চালিয়ে গুদামঘরের সামগ্রী খেয়ে ফিরে যায় জঙ্গলে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে স্কুল প্রাঙ্গন৷ স্কুলে হাতির হামলায় তটস্থ গ্রামবাসীরা৷ অভিভাবকরা বুধবার রীতিমতো স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে৷ শিক্ষক শিক্ষিকাদের আটকে দেন স্কুলে। এক প্রকার অভিভাবকদের চাপের মুখে পড়ে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনেই ক্লাস বসে৷ স্কুলের টিচার ইনচার্জ কুসুম বিশ্বকর্মা জানান, "অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ আমাদের স্কুলে প্রবেশে বাঁধা দেয়৷ তারা স্কুলে বাচ্চাদেরও পাঠাচ্ছে না। খুব কম সংখ্যক বাচ্চা স্কুলে এসেছে। আসলে হাতির ভয়ে আমরা সকলেই তটস্থ৷ বাচ্চাদের নিয়ে মাঠেই ক্লাসে বসেছি৷ অভিভাবকদের দাবি স্কুল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হোক। প্রাচীর করার কথা শুনছি বহুদিন ধরে, কিন্তু হয়নি এখনও। ডিসেম্বর মাস থেকে হাতির হানা চলছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনও ফল মিলছে না। বাচ্চারা আজকে মিড ডে মিলও পাবে না।"এলাকাবাসী তথা অভিভাবক প্রিয়াঞ্জন তামাং জানান,  "প্রায় মাস খানেকের উপর ধরে হাতির তান্ডব চলছে৷ গ্রামের বাকি এলাকা থেকে স্কুল প্রাঙ্গনে হাতির আক্রমণ অনেক বেশি বেড়েছে। স্কুলে মিড ডে মিলের ঘর ভেঙে সামগ্রী খেয়ে চলে যাচ্ছে। কোন ভরসায় আমরা বাচ্চাদের স্কুলে ভেতরে রাখব। একটা সীমানা প্রাচীরের বহুদিনের আবেদন।" অন্যদিকে, বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের রেঞ্জার শ্যামা প্রসাদ চালকাদার জানান, "টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে৷ কিন্তু খবর সঠিক সময়ে না পাওয়ার জন্য নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে৷ স্কুলের বিষয়টা হচ্ছে মিড ডে মিলের ঘরে খাওয়ারের লোভে হাতি ঢুকছে৷''তিনি আরও বলেন, ''এর আগে বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিয়ে একটা ফেন্সিং করা গিয়েছিল। তিন থেকে চার মাস হাতির কোন উপদ্রব নেই৷ কিন্তু তারপরই ফেন্সিংয়ের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হতে লাগল৷ তা পুনরায় গঠনের চেষ্টা করছি৷ স্কুলকে বহুবার বলেছি আপনার স্কুলের মিড ডে মিলের সামগ্রী রেঞ্জ অফিসে রাখুন। সেখান থেকে আমরা আপনাদের প্রতিদিন পাঠিয়ে দেব। হাতির ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি আমরা কি করব। তাকে তো বেঁধে রাখতে পারব না৷ জঙ্গল লাগোয়া এলাকা।"
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)