বাজেট ২০২৪: অঙ্গনওয়াড়ি-আশাকর্মীদের চিকিৎসায় বিরাট সুযোগ
আজ তক | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। এ বার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশের সময় এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর ফলে, অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এ জন্য কত বরাদ্দ করা হল, তা ঘোষণা করা হয়নি। গত বাজেটে ৭২০০ কোটি টাকার কথা জানিয়েছিলেন নির্মলা। ২০২৪ অর্থবর্ষের জন্য স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণে মোট ৮৮ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বাজেট। অন্তর্বর্তী বাজেটে বেশ কিছু নয়া ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। চিকিৎসা পরিষেবায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন নির্মলা। আরও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ কোটি বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল লাগানোর ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রতি মাসে ১ কোটি পরিবারকে ৩০০ ইউনিত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
এছাড়াও এদিন বাজেট পেশ করতে গিয়ে নির্মলা বলেছেন, 'পূর্বাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। আবাস যোজনায় ৩ কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আরও ২ কোট বাড়ি তৈরি হবে আগামী ৫ বছরে।' সীতারামন বলেছেন, 'মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩ কোটি নতুন লাখপতি দিদি আমাদের লক্ষ্য।' অর্থমন্ত্রী জানালেন, 'দেশের অর্থনীতি ভাল। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'
বাজেট পেশ ঘিরে নয়া নজির গড়লেন নির্মলা সীতারমন। এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ বার বাজেট পেশ করলেন নির্মলা। ছাপিয়ে গেলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরম, যশবন্ত সিনহাকে। তাঁরা সকলেই ৫টি বাজেট পেশ করেছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের পাশে জায়গা করে নেবেন নির্মলা। দু'দফায় অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ে মোট ১০টি বাজেট পেশ করেছিলেন দেশাই। বুধবার রাজধানীর নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকের দফতরে রীতি মেনে হালুয়া উৎসব পালন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রকের কর্তা এবং বাজেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হালুয়া বিতরণের পরই মন্ত্রকের ভূগর্ভের প্রিন্টিং প্রেসে বাজেট বই ছাপার কাজ শুরু হয়। বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তাঁরা। মন্ত্রকের নির্দিষ্ট ঘরে থাকতে হয় তাঁদের।