হাইকোর্টের নির্দেশ! মধ্যরাত থেকেই জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে শুরু পুজো
২৪ ঘন্টা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আদালতের নির্দেশে অবশেষে ৩১ বছর পর জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করা হল। পুলিস ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে ব্যারিকেড সরানো হয় এবং মধ্যরাতেই হয় পূজা ও সন্ধ্যারতি। বুধবার মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে দেবতার উপাসনার অনুমতি দিল বারাণসীর আদালত। জেলা প্রশাসনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যারিকেডিংয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু তার আগেই মধ্যরাতে শুরু হয় পুজো। তহখানা হল মসজিদের নীচের পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তহখানা রয়েছে। যার দক্ষিণ দিকের তহখানায় এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানা রয়েছে। সেই ব্যাস কি তহখানাতেই এবার থেকে এখানে নিয়মিত পুজো করা যাবে। কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্ট বোর্ড এই পুজোর দায়িত্বে থাকবে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পুজোপাঠ করা, ভোগ দেওয়া, বেসমেন্টে যে মূর্তি রয়েছে সেটা যথাযথ রাখতে হবে ও লোহার ব্যারিকেড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর পরই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুজো। এখন থেকে সকলেই পুজো করার অধিকার পেলেন। বিষ্ণু শংকর এই নির্দেশের সঙ্গে ১৯৮৩ সালে রামমন্দিরের দরজা খোলার আদালতের নির্দেশের তুলনা করেছেন। প্রসঙ্গত, বারাণসীর জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে পুজো করার অধিকারের দাবিতে শৈলেন্দ্র কুমার পাঠকের আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল শুনানি হয়। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মসজিদের ওই অংশে হিন্দুদের পুজোপাঠের অনুমতি ছিল। পরে তা বাতিল হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টেও পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে।