অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীরা পাবেন এই সুযোগ, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার
২৪ ঘন্টা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা রয়েছে আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। ঘরে ঘরে ঘুরে তারা অধিকাংশ সরকারি সুবিধে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। সেইসব অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের স্থাস্থ্য় বিমার দরজা খুলে দিলেন নির্মলা সীতারমন।
লোকসভার আগে তাঁর বাজেট বক্তৃতায় আজ সীতারমন ঘোষণা করেন, দেশের সব আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধে পাবেন। গত বাজেটে আয়ূষ্মান ভারতের জন্য ৭২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় বছর ৫ লাখ টাকার ক্যাশলেস চিকিত্সার সুযোগ পান গ্রহকরা। বাংলায় এই প্রকল্পের সুবিধে নেই।কেন্দ্রের পরিসংক্যান অনুযায়ী আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্পে দেশের মোট ৩০.৬ কোটি মানুষ উপকৃত হন। সিনিয় সিটিজন ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষজনও এর সুযোগ পান। ২০১৮ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখনওপর্যন্ত ওই প্রকল্পের আওতায় হাসপাসালে চিকিত্সা করিয়েছেন ৬.২ কোটি মানুষ। এর জন্য খরচ হয়েছে ৭৯,১৫৭ কোটি টাকা।উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী ও কেন্দ্রের আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত রয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য সরকার জোর করে রাজ্যবাসীকে আয়ূষ্মন ভারতের সুবিধে পেতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের যুক্তি হয়, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প ঘোষণার অনেক আগেই স্বাস্থ্যসাথী চালু করেছে রাজ্য সরকার। তাই ওই প্রকল্পের কোনও প্রয়োজন নেই। আরও একটি বিষয় হল কোনও নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প নয়, বরং তা সবার জন্য। তার পরেও আশা ও অঙ্গলওয়াড়ি কর্মীদের জন্যও বিনা খরচে চিকিত্সার সুযোগ নিয়ে এল কেন্দ্র।নির্মলা সীতারমন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় আজ দেশের স্থাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি। এক ঘণ্টা তিন মিনিচের তাঁর বাজেট বক্তৃতায় ছিল সরকারের কাজের খতিয়ান। তবে তিনি বলেছেন, সরকার চায় আরও মেডিক্য়াল কলেজ তৈরি করতে। হাসপাতালগুলিতেই মেডিক্যাল কলেজ গড়তে চায়। তার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে।স্বাস্থ্য ছাড়া রেল, নিয়েও কিছু ঘোষণা করেছেন নির্মলা। সরকারে ৩ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল। সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে গিয়েছে সরকার। ২ কোটি আরও বাড়ির বাড়ি তৈরি হবে। যুবকদের জন্য কম সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে। রুফটম সোলার প্যানেল বসিয়ে ১ কোটি বাড়িতে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুত্ তৈরি হবে প্রতিটি বাড়িতে। ৩টি রেল করিডোর হচ্ছে। এগুলি হল এনার্জি-সিমেন্ট-মিনারেল করিডোর, পোর্ট করিডর, হাই ট্রাফিক ডেনসিটি করিডোর। পিএম গতিশক্তির অধীনে এগুলি করা হবে। হাইট্রাফিক করিডোরের ফলে যাত্রীদের গতি ও নিরাপত্তা বাড়বে। ডেডিকেটেড করিডর তৈরি ফলে জিডিপি বাড়বে। ৪০ হাজার সাধারণ রেল বডিকে বন্দেভারতের বগিতে পরিণত করা হবে।