• বদলা নিতেই ছাত্রী খুন! ঘটনায় উত্তাল মালদা, অভিযুক্তর হয়ে দাঁড়ালেন না কোনও আইনজীবী ...
    আজকাল | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বদলা নিতেই নাবালিকাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। মালদায় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রীকান্ত কেশরীকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে তাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালতে অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি বলে জানা গিয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি ইংলিশবাজার পুরসভার বালুচর এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। খুঁজে না পেয়ে শেষপর্যন্ত স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ নাবালিকার খুড়তুতো এক দাদাকে আটক করে। ফুটেজে দেখা যায়, তার বাইকে চেপে ওই নাবালিকা যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশি জেরায় ওই আত্মীয় একাধিকবার বিভ্রান্তিমূলক বয়ান দেয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত জেরায় স্বীকার করে। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে ধরা পড়লেও যাতে চিহ্নিত না করা যায় সেজন্যই খুনের পর নাবালিকার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে সে অন্য জায়গায় ফেলে দেয়। বুধবার গভীর রাতে মালদা শহরের আম বাজার থেকে নাবালিকার দেহ এবং দেহ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে মাথা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, এর আগে মৃতার বাবার সঙ্গে এক বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত যুবক। তাকে মারাও হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই বদলা নিতেই এই খুনের পরিকল্পনা করে সে। যদিও পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, ওই যুবক গলায় ছুরি ধরে যখন ভয় দেখাচ্ছিল তখন নাবালিকা ছটফট করায় গলা কেটে যায়। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে অভিযুক্ত। কারণ, তার উদ্দেশ্য ছিল গলায় ছুরি ধরার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে সে নাবালিকার পরিবারকে ভয় দেখাবে। কিন্তু নাবালিকার মৃত্যু হলে প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শরীর এবং মাথা জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে সে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হওয়া ছাড়াও ঘরের জিনিসপত্র বাইরে বের করে এনে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বিজেপির তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, "আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি ঘটনার তদন্ত করে দোষীর কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে।"
  • Link to this news (আজকাল)