রাজীব চক্রবর্তী, নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়ে দিলেন, শুক্রবার থেকে কলকাতার রেড রোডে ধরনায় বসবেন তিনি। ৪৮ ঘণ্টা অর্থাত্ টানা দু'দিন লাগাতার ধরনায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এই ধরনা শেষ হলেই আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লি(Delhi) যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শোনা যাচ্ছে ৬ তারিখ দিল্লি যাওয়ার পরেরদিন, ৭ ফেব্রুয়ারি 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' বিষয়ক হাই লেভেল কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। ওই কমিটিকে আগেই চিঠি লিখে নিজের অসহমতির কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যে দলগুলি 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন'-এ অসহমতি জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ৮ ফেব্রুয়ারি আবার কলকাতায় ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই খবর।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন একশো দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া অর্থের দাবিতে ১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তিনি ৷ এর মধ্যে কোনও ইতিবাচক জবাব না পেলে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধরনায় বসবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ হলও তাই। বুধবার মালদহ এবং বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূল নেত্রী ও বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, শুক্রবার থেকে কলকাতার রেড রোডে ধরনায় বসবেন তিনি। একশো দিনের কাজের জন্য পাওনা টাকা থেকে বাংলা যে বঞ্চিত হচ্ছে তা নিয়ে আগেও মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুবার বহু মঞ্চ থেকে ধরনার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এবার ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার ধরনায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দুই বর্ধমান জেলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন ৷ তবে এবার রাজপথে বসেই এই জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি ৷প্রসঙ্গত, বুধবার মালদার সভাতেও একলা লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বলেন, "অনেক দল আছে, যারা ভোটের সময় কুহু কুহু করে আসে। আমরা একাই লড়ব। বিজেপিকে ভারতে যদি কেউ হারাতে পারে, তো সেটা তৃণমূল-ই পারবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল।" একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোট ভাঙার দায় সিপিআইএম-এর ঘাড়েও চাপান তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙার জন্য বামেদের দায়ী করেন মমতা। জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "আমি কংগ্রেসকে বললাম, তোমাদের কোনও বিধায়ক নেই, আমি মালদায় ২টো আসন দিচ্ছি। আমরা-ই জিতিয়ে দেব। কিন্তু ওরা বলল, না। আমাদের অনেক চাই। আমি বললাম, একটাও দেব না। তুমি আগে সিপিআইএমের সঙ্গ ছাড়ো।"