৩ দিনের সদ্যোজাতকে সঙ্গে নিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা 'নতুন' মায়ের!
২৪ ঘন্টা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: তিন দিনের কোলের শিশুকে রেখে হাসপাতালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন মা। আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা বলে কথা! কিছুটা ভয়, কিছুটা মনে জোর নিয়েই হলমুখী হচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এর পাশাপাশিই নজরে আসে বেশ কিছু ব্যাতিক্রমী ছবিও। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বেডে সদ্যজাতকে পাশে নিয়েই পরীক্ষার জন্য দিতে দেখা গেল এক মা'কে। একেই বলে অদম্য জেদ। পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা। যাবতীয় প্রতিকূলতাকে টপকে গিয়ে হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষা দিচ্ছেন ওই ছাত্রী। মাত্র তিন দিন আগে এই হাসপাতালেই সন্তান প্রসব করেছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও থেমে থাকেনি ওই ছাত্রী।এই প্রথমবার মাধ্যমিকের সময় পরিবর্তন করায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও কেন্দ্রে পৌঁছোনোর তৎপরতা নজরে এসেছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলির সামনে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের ভিড় চোখে পড়ে। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে কড়া নজরদারিও চালাচ্ছে প্রশাসন। নজরদারি চলছে জলপাইগুড়ি মেডিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় মাধ্যমিক দেওয়া সদ্য মা হওয়া পরীক্ষার্থীর কাছেও। জানা গিয়েছে, দাম্পত্যের জটিলতা, বাপের বাড়িতে আর্থিক সমস্যার পরেও হাল ছেড়ে দেয়নি ময়নাগুড়ি খাগড়াবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। প্রসব হওয়ার তিনদিন পরেও পড়াশোনায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে , সেই ছাত্রী হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিলেন। শুক্রবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের বিশেষ কক্ষে এই পরীক্ষা দিচ্ছেন খাগড়াবাড়ি সবুজ গার্লস স্কুলের এই ছাত্রী। বিশেষ পুলিসি ব্যবস্থা এবং শিক্ষা দফতর নজরদারির মধ্যে পরীক্ষা দিলেন তিনি।ঘটনা প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থীর মা জানান, "জামাই থেকেও নেই বলে অভিযোগ । জামাই কাজের সূত্রে কেরালায় থাকেন। ৩১ জানুয়ারি আমার মেয়ের সন্তান প্রসব হয়। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম ও পরীক্ষা দিক। আজ প্রশাসনের সাহায্যে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছে।" প্রশাসন এভাবে পাশে থাকায় খুশি তরুণীর পরিবারের সকলে। বহু বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও কোনও কিছুই যে লক্ষ্য পূরণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনা মেয়েটি তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ।