• ডার্বিতে নিজেদের ফেভারিট মানছেন না কুয়াদ্রাত
    আজকাল | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তীএকজন আইএসএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচ। অন্যজন বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলে সেরা কোচদের মধ্যে অন্যতম। শনি সন্ধের যুবভারতী দেখবে দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই। কয়েকদিন আগেই আইএসএলের আরেক সফল কোচ সার্জিও লোবেরাকে মাত দিয়েছেন। তার আগে মরশুমে দ্বিতীয়বার মোহনবাগানকে হারান। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সাফল্য। তিনটের মধ্যে দুটো ডার্বি জয়। ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি। ডার্বিকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের আশা আকাশছোঁয়া। কিন্তু মাটিতেই পা কার্লেস কুয়াদ্রাতের।‌ স্বীকার করে নিলেন, বড় জয়ের পরের ম্যাচ সবসময়ই কঠিন। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নামবেন লাল হলুদ কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, "যেকোনও বড় জয়ের পরের ম্যাচটা কঠিন। মনঃসংযোগ হারানোর একটা সম্ভাবনা থাকে। বেঙ্গালুরুতে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমরা সুপার কাপে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। ফুটবলে এটা স্বাভাবিক। আমি এই বিষয়ে প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের একইভাবে মোটিভেটেড থাকতে হবে। আমাদের জন্য এই তিন পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের সঙ্গে আমাদের আট পয়েন্টের পার্থক্য। ডার্বি জিতলে সেটা কিছুটা কমবে।" আগের তিনটে ডার্বিতে নামার আগে ১২ বছরের ট্রফির খরা ছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল। একইসঙ্গে বাড়বে সমর্থকদের প্রত্যাশা। তিনি এটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না। বরং দাবি, এবার লাল হলুদ সমর্থকরা সবুজ মেরুন সাপোর্টারদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে। কুয়াদ্রাত বলেন, "ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব। দীর্ঘদিন পর আবার সমর্থকরা সেলিব্রেট করতে পারছে। এবার লাল হলুদ সাপোর্টাররাও গর্ববোধ করতে পারবে। বলতে পারবে আমরা চ্যাম্পিয়ন। আমরাও পারি।" তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ডার্বিতে আন্ডারডগ হিসেবে জয়। এবার টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল। মেনে নিচ্ছেন বিপক্ষে প্রচুর বদল হয়েছে। কোচ পরিবর্তন হয়েছে। যায় ফলে বদলাবে খেলার স্টাইলও। কিন্তু নিজেদের মোমেন্টাম ধরে রেখে শনিবারের স্পেশাল ম্যাচ জিততে মরিয়া। তবে সিভেরিওকে ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠের দুই প্রধান ফুটবলার বোরহা এবং শৌভিকের অনুপস্থিতি যে সমস্যায় ফেলতে পারে সেটা মেনে নিলেন। তবে সেই জায়গা ভরাট করার বিষয়েও আশাবাদী লাল হলুদ কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, "খেলাটা এগারো বনাম এগারোর। তবে মানতে সমস্যা নেই যে শৌভিক আমাদের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওর বিকল্প দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। চার বিদেশি নিয়েই খেলব। এছাড়া কোনও উপায় নেই। দলের সব ফুটবলারদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আরও দুই বিদেশি যোগ দেবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার আসবে। ওদের অন্তর্ভুক্তিতে দল আরও শক্তিশালী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।" অনেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখলেও নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন না স্প্যানিশ কোচ। উল্টে বাগানকে এগিয়ে রাখলেন। কুয়াদ্রাত বলেন, "আমার মনে হয় না আমরা ফেভারিট। আমাদের দলে মাত্র চারজন গোল করছে। ক্লেইটন, নন্দকুমার, মহেশ এবং বোরহা। মাত্র চারজন বিদেশি নিয়ে খেলতে হবে। সেখানে মোহনবাগানের স্ট্রাইকাররা অনেক বেশি কার্যকরী। তাই আমার মনে হয় ওরাই ফেভারিট।" শুক্রবার বিকেলে যুবভারতীর একনম্বর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারেন‌ ক্লেইটনরা।‌‌ বেশ হাসিখুশিই ছিল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। মাঝমাঠে ক্রেসপো-পার্দো জুটির ওপরই ভরসা রাখতে হবে কুয়াদ্রাতকে।‌ সেক্ষেত্রে কি সামনে ক্লেইটনের সঙ্গে সুহের বা বিষ্ণুকে জুড়ে দেবেন? না মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে সিঙ্গল স্ট্রাইকারেই শুরু করবেন? আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার উত্তর মিলবে। 
  • Link to this news (আজকাল)