• রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপনে কেন্দ্রের সমালোচনা তৃণমূলের...
    আজকাল | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য: রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে নারী শক্তির ওপর ভরসা তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ হওয়ার পর, শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন। আজ লোকসভায় তৃণমূলের তরফে বক্তব্য রাখেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। নতুন সংসদে এই বাজেট অধিবেশনেই প্রথম বক্তব্য রাখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু। সেই বিষয়টি তুলে ধরে কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রশ্ন তোলেন, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে কেন আমন্ত্রণ পেলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু। কেন রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করানো হল না সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো নিয়ে বিজেপির তরফে বিষয়টিকে মোদি সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ঢালাও প্রচার করা হচ্ছে। তার বিরোধিতা করে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখার কৃতিত্ব শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব এই নয়।" এর পাশাপাশি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তির সমালোচনায় সরব হন কাকলি। তিনি অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের বন্ডেড লেবারদের মতো কাজ করাতে বাধ্য করানোর চেষ্টা চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসকদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালগুলিকে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চিকিৎসক অধ্যাপকদের কাজ করা বাধ্যতামূলক করার জন্য বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করেছেন কাকলি ঘেোষদস্তিদার। এদিন তিনি বলেন, "এই ধরণের নির্দেশিকার জন্যই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। এভাবে চললে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অধ্যাপক পাওয়া যাবে না।" তাঁর কথায়, "আমরা আগে বলতাম ৭টি এইমস এবং ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত সময়ে ৩৯০টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। যদিও গত ১০ বছরে ১৬টি এইমস এবং ৩১৫টি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। তবে অধ্যাপক কোথায়?" দেশে চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন কাকলি। একইসঙ্গে রাজ্যের বকেয়া নিয়েও সরব হন তিনি। তৃণমূলের তরফে বাকি দুই বক্তার তালিকায় রয়েছেন শতাব্দী রায় এবং প্রতিমা মণ্ডল। এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূলের তরফে মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও সময় না থাকায় তা হয়নি। কারণ, এদিন রাজ্যসভায় দ্বিতীয়ার্ধে প্রাইভেট মেম্বার বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। রাজ্যসভায় তৃণমূলের বক্তা সুখেন্দুশেখর ছাড়াও রয়েছে নাদিমূল হক এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরমহংস বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেল। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন ফকির এবং তিনি যে কোনওদিন ঝোলা নিয়ে হিমালয়ে চলে যেতে পারেন।
  • Link to this news (আজকাল)