• 'নন্দ কী করেছে জানি না' কেন চটলেন বাগান অধিনায়ক! কী প্রশ্ন করা হয়েছিল'
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রীতম কোটালের হাত ধরে দারুণ সাফল্য় পেয়েছিল মোহনবাগান। প্রীতম চলে যাওয়ার ক্য়াপ্টেন'স আর্মব্য়ান্ড এখন শুভাশিস বসুর (Subhasish Bose)। প্রথমবার মোহনবাগানকে নেতৃত্ব দিয়েই তিনি ক্লাবকে ডুরান্ড চ্য়াম্পিয়ন করিয়ে ছিলেন। তাও আবার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে। গত ৩ সেপ্টেম্বর, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দিমিত্রি পেত্রাতোসের (Dimitri Petratos) গোলেই ১৭ নম্বর ডুরান্ড কাপ জেতে গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। জাতীয় দলে থাকায় শুভাশিস সুপার কাপের ডার্বি খেলেননি। রাত পোহালে ফের ডার্বি। সবুজ-মেরুন জার্সিতে মাঠে নামতে চলেছেন দলের তারকা ডিফেন্ডার। প্রাক ম্য়াচ সাংবাদিক বৈঠকে শুভাশিস ছিলেন কোচ অ্যান্টোনিয়ো হাবাসের সঙ্গে। আর শুক্রবার অর্থাৎ আজ যুবভারতীর প্রেস কনফারেন্স রুমে শুভাশিস চটেছিলেন একটি প্রশ্নেই। জি ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে বাগান অধিনায়ককে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তা হয়তো খুব একটা পছন্দ হয়নি কলকাতার ছেলের। শুভাশিসকে বলা হয়েছিল, বিগত কয়েক বছরে মোহনবাগানের রক্ষণ ভাগের বাঁ-দিকে একটা দুর্বলতা দেখা গিয়েছে, বড় ম্য়াচের ক্ষেত্রে ওখান থেকেই প্রতিপক্ষ গোল করে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রতিপক্ষের কাছে ওটাই এখন সুইট স্পট। আপনি মূলত বাঁ-দিকটাই সামলান? নন্দকুমার যদি ওদিক থেকেই উঠে এসে আক্রমণ করেন ডার্বিতে, তাহলে অ্য়ান্টিডোট কী হবে? যার উত্তরে শুভাশিষ কিছুটা চটে গিয়েই ঔদ্ধত্য় দেখিয়ে বলেন, 'আমি শেষ যে ডার্বিটা খেলেছিলাম, তার ফল সবারই জানা। ১-০ জিতেছিলাম আমরা। নন্দ কী করেছে জানি না! অনেকই কোচের থেকেও ফুটবলটা বেশি বোঝেন!'শুভাশিস জাতীয় দল থেকে ফেরার পর চাঙ্গা হয়েই মোহনবাগানের সঙ্গে অনুশীলন সেরেছেন। এই দল ও বড় ম্য়াচ নিয়ে তাঁর সংযোজন, 'দেখুন ডার্বিতে কেউ ফেভারিট নয়। চোট-আঘাত সারিয়ে দল অনেক বেশি ফিট। জাতীয় দল থেকেও সবাই ফিরে এসেছে। খুব ভালো প্র্যাকটিস হয়েছে আমাদের। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও ভালো। আশা করি আরও ভালো পারফরম্য়ান্স হবে। কমপ্য়াক্ট টিম আমাদের। আমাদের সাতজন ফুটবলার জাতীয় দলে ভালো খেলেছে। ডার্বি দিয়ে আইএসএলের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হচ্ছে। খেলোয়াড়রা ১০০ শতাংশই দেবে। ইস্টবেঙ্গলও অনুশীলন সেরেছে। আগামিকাল ভালো ম্য়াচ হবে। দু'টো টিমই সেরাটা দেবে। ডার্বিতে জয়টা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি। ডার্বি জিতলে দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। তবে আমাদের কাছে সব ম্য়াচ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফ্য়ানদের কাছে ডার্বি জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোচ যেমন চাইবেন তেমনটাই হবেন। আর সারা বিশ্ব জানে ডার্বির ঐতিহ্য় কী আর এর উন্মাদনা কোন পর্যায়ে থাকে। দলের বিদেশিদের সেটা আলাদা করে বোঝাতে হবে না। তারা ডার্বি খেলেছে। তারা জানে কী চাপ থাকে, তাদের উপর কী প্রত্যাশা করা হয়।'আইএসএলের প্রথম পর্বের শেষটা একেবারেই সুখকর হয়নি মোহনবাগানের জন্য়। মুম্বই সিটি এফসি, এফসি গোয়ার পর এবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও হেরে যান শুভাশিসরা। মোহনবাগান ১০ ম্য়াচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে। লিগের ওঠা-পড়ার প্রসঙ্গে শুভাশিস বলেন, 'বাগানের রক্তে আছে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি।' এখন দেখার গতবারের চ্য়াম্পিয়নরা এবার আইএসএলে কী করে! আইএসএলের ইতিহাস বলছে আজ পর্যন্ত বড় ম্য়াচ জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। চারবারই বাজিমাত করেছে পদ্মাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। কুয়াদ্রাতের জাদুস্পর্শে কি এবার আইএসএল ডার্বিও জিতবে ইস্টবেঙ্গল? উত্তরের অপেক্ষায় যুবভারতী। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)