• 'অসত্য ও ভুলে ভরা, পুরোটাই মিথ্যে', ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মোদীকে কড়া চিঠি মমতার!
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "ক্যাগ রিপোর্টে সব তথ্য ভুল। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।" বকেয়া আদায়ে রেড রোডে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, পুরো রিপোর্টটাই ভুলে ভরা। অসত্য রিপোর্ট। এই রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার হিসেব দেওয়া হয়েছে।মমতা বলেন, "ক্যাগের মত সংস্থা এই ধরনের অসত্য রিপোর্ট দিয়েছে। যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি। চিঠিতে লিখেছি যে, সংশ্লিষ্ট দফতর সময়ে সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে। প্রত্যেকটার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট গিয়েছে। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওরা মিথ্যেবাদী। সব হিসেব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিকৃত তথ্য দিয়েছে। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না।" প্রসঙ্গত, বুধবার দিল্লিতে ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিশানা করেন তৃণমূলকে। বলেন, "কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজ্য সরকারকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তা থেকেই বোঝা যায় যে, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা কোন খাতে কত খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। এই ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব কই?" প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি আরও দাবি করেন, "ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। দুর্নীতির এটা নতুন একটা পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে কেউ জানে না। কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে খরচ করা হয়েছে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।" যার সবই অসত্য ও মিথ্যে বলে এদিন দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জানালেন সব হিসেব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, "অন্তর্বরর্তী বাজেট তো নয়! গরিব লোকেদের জন্য একটা কথাও বলেনি। চাষিদের জন্যও কিছু নেই। গ্যাসের দামও নির্বাচনের পর আবার বাড়িয়ে দেবে।" একইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও তোপ দাগেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। কাজও বন্ধ। বাংলা কি দোষ করল? ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তো অনেক প্রশ্ন হল। কিন্তু টাকা কোথায়? গরিব মানুষকে ভাতে মারবে বলে টাকা বন্ধ রেখেছ। কেন্দ্র ভাবছে বাংলাকে ভাতে মারবে। কিন্তু অত সহজ নয়!" তোপ দাগেন, "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। অফিসারদের সঙ্গে মিটিং হল। কিন্তু তাও টাকা এল না।"
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)