'রামলালা চোখ মেলেছিলেন মাত্র ২০ মিনিটে'! অলৌকিক অভিজ্ঞতা ভাস্কর অরুণের...
২৪ ঘন্টা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এখনও দু'সপ্তাহ পূর্ণ হয়নি অযোধ্যার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার। এখনও দেশ জুড়ে চলছে রামমন্দিরের প্রতি মুগ্ধতার রেশ। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বালক রামের মূর্তি। দেশ জুড়ে প্রশংসিত পূজিত বন্দিত এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। রামমন্দিরের সৌন্দর্য দেখে যেমন আপ্লুত ভক্তরা, তেমনই মূর্তিশিল্পীর নিপুণতা দেখেও মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কালোশিলা খোদাই করে রামের এমন স্বর্গীয় রূপসৌন্দর্য কীভাবে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী?
শিল্পী নিজে কী বলছেন? মূর্তিশিল্পী ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ বলেছেন, রামের মূর্তি কেমন হবে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাও ছিল না। কাজটি করতে-করতেই তিনি যেন ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে জন্ম দিতে থাকেন শ্রীরামের অবয়ব, ভাব, রূপ, সৌন্দর্য!একটা ইঙ্গিত অবশ্য দিয়েছিলেন অরুণ। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর দীপাবলির সময় তিনি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। তখন ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত ভাবনা যেন দিশা দেখায় তাঁকে। অযোধ্যায় সেই সময় কয়েকজন শিশুকে দেখেছিলেন তিনি। সেই শিশুদের মুখ দেখার পরই রামের মুখ সম্পর্কে যেন একটা ধারা তৈরি হয় তাঁর।তবে চোখ তৈরি করাটাই ছিল সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রামের ওই ভাবময়, করুণামাখা চোখ তিনি কীভাবে তৈরি করবেন? অরুণ জানিয়েছেন, মাত্র ২০ মিনিটই নাকি তাঁর হাতে ছিল। আসলে ওই ২০ মিনিটই ছিল শুভ সময়। আর তার মধ্যেই শ্রীরামের চক্ষুদান করতে হবে তাঁকে। ঠিক সেটাই করেছিলেন অরুণ। সে এক আশ্চর্য ব্যাপার। তাঁর কাছে অনেকটা অলৌকিক ঘটনাও। ওই ২০ মিনিটেই চোখ মেললেন রামলালা!রামের মূর্তি তৈরি করার পুরো সময়টিই তাঁর কাছে ছিল আশ্চর্য অভিজ্ঞতাময়। যে কয়েকদিন ধরে অরুণ রামলালার মূর্তি তৈরি করেছিলেন, সেই কয়েকদিন রাতে তিনি টানা ঘুমোতে পারতেন না। বারবার উঠে পড়তেন। তাঁর মনে হত রামলালা যেন তাঁকে ডাকছেন!