• বিশাল আকৃতির বাঘা মাছ দেখতে বাজারে উপচে পড়ল ভিড়...
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: আজ, শনিবার হইহই পড়ে গেল জলপাইগুড়ির মাছের বাজারে। জলপাইগুড়ির দিনবাজারে মাছ কিনতে আসা মানুষজনের মধ্যে ওই মাছ ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ। বেজায় খুশি বিক্রেতারাও।

    বিহার থেকে আজ, শনিবার সকালেই বাজারে ঢুকেছে বিশাল আকারের বাঘা এই মাছটি। এর আকৃতি বিশাল। ওজন প্রায় ৭০ কিলোগ্রাম। মাছ দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে মাছ ব্যবসায়ী অজয় দাসের মাছের দোকানে। এতবড় মাছ! তার স্বাদ কেমন হবে? জানতে গাঁটের কড়িও খরচ করেছেন দর্শককুল। ৫০০ টাকা কেজি দরে তাঁরা কিনছেন সেই মাছ।এত বড় মাছ বাজারে এই প্রথম এসেছে বলে জানান বিক্রেতা অজয়। তাঁর কথায়, এটি গঙ্গার মাছ। বিহার থেকে এসেছে। জলপাইগুড়ির মানুষ এই মাছ সম্পর্কে তেমন অবগত নন। আজ এত বড় মাছ দেখে তাঁরা কিনেছেন। তিনি যোগ করেন, অসমে এই মাছের চাহিদা ভালোই।কয়েকমাস আগে দেড়শো কেডি ওজনের একটি মাছ উঠেছিল দিঘার সৈকতে। দিঘার মোহানায় মাছটিকে দেখে জেলেরা তো আশ্চর্য। খবর পেয়ে দৈত্যাকার এই মাছ দেখতে অনেকেই ভিড় করেছিলেন। নিলামে প্রায় ৭০ হাজার টাকা দর উঠল মাছটির। ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে এক মৎস্যব্যবসায়ী দিঘা মোহানায় মাছটিকে নিয়ে আসেন। জানা গিয়েছিল, সাধারণত গভীর সমুদ্রেই পাওয়া যায় ওই মাছ। ওই মাছের পটকা ও অন্যান্য অঙ্গ নানা জীবনদায়ী ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এই ধরনের মাছ বিদেশে রফতানিও হয়। অনেকেই সেদিন দেখতে এসে মাছের আকার-আয়তনে মুগ্ধ হয়ে মাছটিকে নিয়ে ছবিও তোলান। এই ঘটনার কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়িরই করলা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল অদ্ভূতদর্শন বিশালাকার এক মাছ। জানা গিয়েছিল, সেটি ছিল আমেরিকান রুই। মাছটি বঁড়শি দিয়ে শিকার করেছিলেন সঞ্জীব দাস নামের স্থানীয় এক যুবক। মাছটিকে অনেকটা সময় ধরে জলে খেলিয়ে তার পরই সেটিকে আয়ত্তে আনতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সঞ্জীব। স্থানীয় আর এক বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, তাঁরা মাছটিকে আমেরিকান রুই বলেই জানেন। কেউ বলেছিলেন, তাঁরা মাছটিকে সিলভার কার্প বলে চেনেন। এর ওজন ছিল প্রায় ৬ থেকে ৭ কেজি। তবে ওজন তুলনায় তত বেশি না-হলেও মাছটিকে দেখলে সকলেরই চোখ কপালে উঠেছিল। কেননা মাছটির চোখ-মুখ দেখতে অদ্ভুত অন্যরকম।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)