'সারা জীবনের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সম্মান', বললেন 'ভারতরত্ন' আডবাণী!
২৪ ঘন্টা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর সারা জীবনের আদর্শের স্বীকৃতি। তাঁর সারা জীবনের আদর্শের প্রতি 'সম্মান'। ভারতরত্ন সম্মানকে এই ভাবেই ব্যাখ্যা করলেন লৌহমানব লালকৃষ্ণ আডবাণী। একইসঙ্গে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ভারতরত্নকে তাঁর আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি 'সম্মান' বলে জানিয়ে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, "সমস্ত রকম কৃতজ্ঞতা সহযোগে আমি আমাকে দেওয়া এই ভারতরত্ন সম্মান গ্রহণ করছি। এটা আমার জন্য শুধু একজন ব্যক্তি হিসেবে পাওয়া কোনও সম্মান নয়। এটা আমার সারা জীবন ধরে যে আদর্শ ও মূল্যবোধকে অনুসরণ করেছে, এটা তার প্রতি সম্মান। যে আদর্শ ও মূল্যবোধকে আমি আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী সারাজীবন ধরে লালন করেছি। পালন করেছি।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি আমার পরিবারের সমস্ত সদস্যদের, বিশেষ করে আমার প্রয়াত প্রিয়তম স্ত্রী কমলার সঙ্গে এই সম্মান পাওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি। তাঁরা-ই আমার শক্তির উৎস।" আডবাণীর কথায়, "১৪ বছর বয়সে আরএসএস-এ ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমি পুরস্কার খুঁজেছি শুধু নিঃস্বার্থ ও নিবেদিত দেশ সেবার মধ্যে দিয়ে।" পাশাপাশি ভারতরত্ন হিসেবে তাঁর নাম বিবেচিত হওয়ার দিনে আডবাণী স্মরণ করেছেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় ও ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও। এদিন লালকৃষ্ণ আডবাণীকে 'ভারতরত্ন' দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে খবরটি পোস্ট করেন তিনি। বলেন, এটি তাঁর কাছে খুবই আবেগঘন এক মুহূর্ত।প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আডবাণী। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটলবিহারী বাজপেয়ীর অধীনে ভারতের সপ্তম উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আডবাণী ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রবীণ নেতা। দশম ও চতুর্দশ লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন আডবাণী। ২০১৪ সালে মুরলী মনোহর জোশী ও অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে বিজেপির 'মার্গ দর্শক মণ্ডল'-এর মতো মর্যাদামণ্ডিত পদে ঠাঁই পান আডবাণীও।