ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তরুণীকেই গ্রেফতার করতে বলল আদালত
২৪ ঘন্টা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কিরণ মান্না: ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলার অভিযোগ! মামলা চলাকালীন আদালত অবমাননার দায়ে উল্টে যুবতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ক্ষুব্ধ কাঁথি আদালতের বিচারক। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আলোড়ন হইচই পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকায়।
সম্প্রতি ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল কাঁথি আদালতে। পকসো আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই ছাত্রনেতা। বেশ কিছুদিন ধরে পুলিস হেফাজতে থাকার পর উচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষ জামিনে ছাড়া পায় ছাত্রনেতা। তারপর ওই মামলা চলতে থাকে কাঁথি আদালতে। দিনের পর দিন আদালতে সাক্ষ্যদানে হাজির হননি যুবতী। সেই কারণে শনিবার কাঁথি আদালতের ফার্স্টট্রাক ফাস্ট কোর্টৈর (পকসো) বিচারক অজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য যুবতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলা করার সময় নাবালিকা থাকলেও বর্তমানে তিনি সাবালিকা, আদালত সূত্রে খবর।অপরদিকে নির্যাতিতার পক্ষে তার বাবা জানিয়েছেন তার কন্যা অসুস্থ থাকার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি। কিন্তু আটটি সাক্ষীর ডেট ফেল হয়েছে, যাননি সাক্ষ্যদানে, নির্যাতিতার পক্ষে অসুস্থতার সার্টিফিকেট আদালতে জমা করার পর বিচারকের সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর সার্টিফিকেটের গরমিল সন্দেহ করেই বিরক্ত হয়ে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। শুধু তাই নয় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য কাঁথি মহিলা থানার আই কে নির্দেশ ও দিয়েছেন বিচারক।শুভদীপের আইনজীবী আনন্দ দাস জানিয়েছেন গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কাঁথি মহিলা থানায় দায়ের করেন ওই নাবালিকার পরিবারের লোক। ওই মামলা উচ্চ ন্যায়ালয় পর্যন্ত গড়ায়। বেশ কিছুদিন পুলিস হেফাজত জেল হেফাজতে থাকার পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পান শুভদীপ।ছাত্রনেতা শুভদীপের পক্ষে কাঁথি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুরজিৎ নায়কের অভিযোগ শুভদীপ কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ছাত্র নেতা। নির্যাতিতার বাবা একজন বিজেপি নেতা,তাই তাকে জব্দ করতে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মামলা সাজিয়েছে। যদিও বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা জানিয়েছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির যোগ নেই।