'বাম সরকারের সময়ের দায় তৃণমূল সরকারের নয়', CAG রিপোর্ট নিয়ে আক্রমণ তৃণমূলের
২৪ ঘন্টা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতায় রবিবার সকালে ফের আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। রবিবার সকালে তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ইউটিলাইজেশন পেপার দেননি। তিনি বলেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। ২০০২-০৩ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে বাম সরকার ছিল। তিনি বলেন সেই সময়ের দায় তৃণমূল সরকারের নয়। তিনি আরও বলেন, সরকার সঠিক রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই পরেরবারের টাকা এসেছে।
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘মা মাটি মানুষের সরকার তারা কেন্দ্রের টাকা যেখানে ব্যবহার হয়েছে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। কোনও কিছু পেন্ডিং নেই’।তিনি অভিযোগ করেন, ক্যাগ ২০০২-০৩ টাকেও ইনক্লুড করছে, যাতে বিরোধীরা কুৎসা করতে পারে। তাঁর দাবি, বাম জমানার দায় তৃণমূল কংগ্রেস নেবে না।তৃণমূল অভিযোগ করেছে, ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে রয়েছে তাদের ভুড়ি ভুড়ি ইউটুলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া বাকি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপির কথায় রাজনৈতিক দলিল তৈরি করে দেওয়া থেকে বিরত থাকবে ক্যাগ।বলা হয়েছে, ‘এই টাকাটা রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথাই নয়। সবটা দায়িত্ব কেন্দ্রের। রাজনৈতিক কারণে দিচ্ছে না। একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাকা কী ভাবে দেওয়া যায়’।তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদারকে মনে করিয়ে দেবেন স্বাস্থ্যসাথীর প্রকল্প চালু করেছিলেন। তার পরিষেবা কারা কারা নিয়েছেন সেটা রাজনীতির রং দেখে করে না। আত্মঘাতী মন্তব্য করবেন না। সুকান্ত মজুমদার কী এই প্রকল্পের দারোয়ান?’সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বলা হয়, সারা বাংলায় বিজেপির বহু কর্মী তাদের অসৎ সঙ্গ ছেড়ে অন্য দলে আসছেন। বাবুল সুপ্রিয় এসেছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা এসেছেন অসৎ সঙ্গ ছেড়ে।রাজ্যপালের বক্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, নিজের চেয়ার বাঁচাতে এই ধরনের কথা বলছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষ দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বে একটা শক্তি। রাজ্যপাল যা বলেছেন ব্যক্তিগত চেয়ার সুরক্ষিত রাখার জন্য’। সাংবাদিক সম্মেলনে, রাজ্যসভায় AITC-র সংসদিয় দলের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, ‘গতকাল, বাংলার সরকার ২১ লাখ শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের এই ঘোষণা আগামী বছরগুলিতে ভারতের ফেডারেল দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চিত করছে কারণ তারা রাজনৈতিকভাবে রাজ্যের বিরোধিতা করে’।