গণবিবাহের আসরে পুরোদস্তুর সেজে রয়েছেন কনেরা। পরনে লাল-কমলা বেনারসী। কিন্তু কোথাও বরের দেখা নেই। একে অপরের সঙ্গেই চলছে মালাবদল। এমনই অবাক কাণ্ড ঘটল উত্তর প্রদেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যোগীরাজ্যের গণবিবাহের ভিডিয়ো। ঘটনাটি গত ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার। সেখানেই একটি গণবিবাহে দেখা গিয়েছে, মাথায় ঘোমটা টানা কনেরা একে অপরকে মালা পরাচ্ছেন।
পুলিশ তদন্তে নামতেই জানা যায়, সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর জন্য ওই কাজ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বালিয়ার ওই গণবিবাহের আসরে ৫৬৮ জন যুগলের বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, আদতে বিয়েই হয়নি সেখানে। যুবক-যবুতীদের বর-বউ সাজার জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় এইপর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯ বছর বয়সী এক যুবক ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছেন যে, তাঁকে গণবিবাহ অনুষ্ঠানে বসতে ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি সেই টাকা পাননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে কিছু সুবিধাভোগী ইতিমধ্যেই বিবাহিত। উদাহরণস্বরূপ, মানিকাপুর গ্রামের অর্চনা যার বিয়ে হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। ওইবছরই মার্চ মাসে রঞ্জনা যাদব এবং সুমন চৌহানের বিয়ে হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা নভেম্বরে বিয়ে করেছিলেন। পুজার বিয়ে হয়েছিল এক বছর আগে। সঞ্জুর বিয়ে হয়েছিল তিন বছর আগে। জুলাই মাসে রমিতার বিয়ে হয়।
জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানান, মানিয়ার উন্নয়ন ব্লকে অনুষ্ঠিত গণবিবাহ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের মধ্যে এখনও তহবিল বিতরণ করা হয়নি। এই স্কিমের অধীনে ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩৫ হাজার কনেকে এবং ১০ হাজার কেনাকাটার জন্য এবং ৬ হাজার টাকা অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজেপি বিধায়ক কেতকি সিং বলেছেন যে, তিনি মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে জালিয়াতির বিষয়ে জানতে পেরেছেন এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।