• ভোটাভুটির আগে রাজ্যে ফিরছেন জোটের ৪০ বিধায়ক, আজ বড় পরীক্ষা চম্পাই সোরেনের
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জমি কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে রাজপাট গিয়েছে হেমন্ত সোরেনের। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এবার ঝাড়খণ্ডের তখ্তে জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। রাজ্যে জেএমএম -কংগ্রেস-আরজেডি জোট চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বসিয়ে দিলেও সোমবার তাঁকে দিতে হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষা। পাশের রাজ্য বিহারে আচমকাই সরকার বদল হয়েছে, দিল্লিতেও আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরকম এক পরিস্থিতিতে সোমবার চম্পাইয়ের পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

    আস্থা ভোটের আগে যে বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা জেএমএম জোট করছে তা একপ্রকার স্পষ্ট। জোটের ৪০ বিধায়ক এখন হায়দরাবাদে। তারা কাল  আস্থাভোটের আগেই রাজ্যে ফিরবেন। ফলে আস্থাভোটেকে ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে পড়শি রাজ্যে। এখন দেখে নেওয়া যাক ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় কার হাতে রয়েছেন কতজন বিধায়ক। ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ৪১। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হাতে রয়েছে ২৮ বিধায়ক, কংগ্রেসের হাতে ১৬ জন, আরজেডির হাতে ১ জন এবং সিপিআইএমএলের হাতে ১ বিধায়ক রয়েছেন। মোট ৪৬ জন। অর্থাত্ জোট অটুট থাকলে চম্পাইয়ের পাস করা আটকে যাওয়ার কথা নয়। তবে সোমবার পরিস্থিতি কী হয় সেটাই দেখার।অন্যদিকে, বিজেপি হাতে রয়েছে ২৯ বিধায়ক। পাসাপাশি ৩ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। সংখ্যার বিচারে বিজেপি জেএমএম জোটের ধারে কাছে আসতে পারছে না। তবে কোনও এক অজানা আশঙ্কায় তাদের ৪০ বিধায়ককে রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে জোট। সোমবার ভোরে বা গভীর রাতে তারা রাজ্যে ফিরতে পারেন। গতবছর একবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল হেমন্ত সোরেনকে। সেবার তিনি পেয়েছিলেন ৪৮ বিধায়কের সমর্থন।এদিকে, চম্পাই সোরেনের আস্থাভোটে আশঙ্কার একটা কালো মেঘ রয়েছে। কারণ জেএমএমের একটি বিবৃতি। হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমএমের তরফে বলা হয়েছিল তাদের কাছে ৪৩ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তাহলে বাকী ৩ জনরে সমর্থন নেই কেন? তা এখনও খোলসা করেনি জেএমএম। সূত্রের খবর ২ জেএমএম বিধায়ক আস্থাভোট এড়িয়ে যেতে পারেন, একজন গুরুতর অসুস্থ। এইখানেই সমস্যা জোটের। হেমন্ত চলে যাওয়ার পর চম্পাই শেষপর্যন্ত থেকে য়েতে পারেন কিনা তা বলবে কালকের আস্থাবোটের ফলাফল।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)